পুজোর রুটম্যাপ : সেরা পুজো দেখার তালিকা এক নজরে
জোড়াবাগান , আহিরীটোলা , নিমতলা , মানিক তালা , বিডন স্ট্রিট , কুমারটুলি, হাতি বাগান , বড়বাজার
গৌরিবেরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী : ৮৬ তম বর্ষে এক অন্যতম টিম নিয়ে এসেছে গৌরিবেরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী সংঘ. শিল্পী পরিমল পালের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” ভিনদেশী তারা “. মা বাবার অমূল্য সম্পদ হল তাদের সন্তানেরা। সন্তানের ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য বর্তমানে সব বাবা মারাই তৎপর। অনেকেরই ধারণা ভালো কেরিয়ার তৈরী করার জন্য বিদেশে চাকরি করাটা সাধারণ বাকি সব ব্যাপারের মতোই। যার ফলে পিতামাতা ও সন্তানের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হচ্ছে। এই দূরত্বের কারণেই একাকিত্ব ভুগছেন দুই দিকের মানুষজন। পিতামাতার আপন সন্তানদের ভিনদেশী তারায় পরিণত হওয়ার গল্পই তুলে ধরেছেন। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
জজ বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব : ২৮ তম বর্ষে পা দিল জজ বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব। শিল্পী পিকু সিংহের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” গর্ভধারিণী “. প্রতিনিয়তই আমরা শিশু হত্যার ঘটনা জানতে পারি। মাতৃ গর্ভে শিশু হত্যার মতো নিষ্ঠুর অসুরতা এক নিম্ন মানসিকতার পরিচয়। এই অসুরতাকে বধ করতে আসছেন মা দূর্গা। প্রতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
লালাবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি : ৭১ তম বর্ষের পরিকল্পনা ” অন্তলীন “. শিল্পী পার্থ রঞ্জন ঘোষের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা। জন্ম বা মৃত্যু বিধাতার সৃষ্ট চরম সত্য। এটি বদলানো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়. এই জন্ম মৃত্যুর মাঝে অবস্থিত হয় এক অন্য জগৎ. পৌরাণিক ব্যাখ্যায় যার নাম ” অন্তলীন “. এই জগৎকেই তুলকে ধরেছেন শিল্পী পার্থ রঞ্জন ঘোষ. প্রতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি : ৮২ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে হাজির হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। শিল্পী অঙ্কুশ চৌধুরীর পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” আমায় দেখে মুকায় যারা, লুকায় তারা পৃথিবী থেকে “. প্রতিনিয়তই আমরা শিশু হত্যার ঘটনা জানতে পারি। অনেকেই শোক প্রকাশ করি সেই সব না জন্মানো শিশুদের নিয়ে। এই সব না জন্মানো শিশুদের কথা মাথায় দেখে এই বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন শিল্পী অঙ্কুশ চৌধুরী। প্রতিমা নির্মাণ করেছেন শিল্পী সরজিৎ রায়. আলোকসজ্জা করেছেন মাতারা ইলেকট্রিক ( কলকাতা ). বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।