পুজোর রুটম্যাপ : সেরা পুজো দেখার তালিকা এক নজরে !” ১ ”
পূর্বপুটুয়ারী ,পশ্চিম পুটিয়ারি , হরিদেবপুর , বাড়িশা , কুদঘাট

তানিয়া চক্রবর্তী // বড়িশা যুবক বৃন্দ : ৬২ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল বড়িশা যুবক বৃন্দ। শিল্পী মলয় দত্তের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” জেলে পাড়ার উমা “. শষ্য শ্যামলা এই বঙ্গের দক্ষিণে সুন্দরী, গরাণ, হেতাল এর জঙ্গলঘেরা জনবসতিপূর্ণ সুন্দরবন। এখানেই বাস করে নানা গুন্ সম্পন্ন নারীরা। সবার মাঝে তারা জেন অন্যন্য। এই নারীদের কথাই তুলে ধরেছেন শিল্পী মলয় দত্ত। প্রতিমা নির্মাণ করেছেন শিল্পী পরিমল পাল। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৪,০০,০০০ টাকা। প্রতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাঙ্ক পার্ক সার্বজনীন : ৪৯ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাঙ্ক পার্ক সার্বজনীন। শিল্পী পার্থ দাসগুপ্তের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” আবাসনে আলপনা “, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তপবনের শিক্ষাঙ্গনে শুরু করেছিলেন আলপনা দেওয়ার রীতি। সুকুমারী দেবী থেকে শুরু করে নন্দলাল বসুর হাত ধরে শান্তিনিকেতনের আলপনা বিশ্বব্যাপী এক সার্বজনীন রূপ পায়. সেই আলপনা দেওয়ার রীতিনীতি তুলে ধরেছেন শিল্পী পার্থ দাসগুপ্ত। পুজো প্রাঙ্গনে ও দেবীর গয়নায় আল্পনার কারুকার্য দেখিয়েছেন বিশ্বভারতীর প্রখ্যাত আলপনা রচনাকার শ্রী সুধীররঞ্জন মুখার্জী। সঙ্গীত সৃজনের দায়িত্ব নিয়েছেন শর্মিলা দত্ত। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৬০,০০,০০০ টাকা। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
উদয়ন পল্লী সার্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটি : ৫২ তম বর্ষে থিম পুজোর বেড়াজাল টপকে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে উদয়ন পল্লী সার্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটি। শিল্পী রণ ব্যানার্জীর পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” ফকিরচাঁদের আটচালা, নেই এখানে থীমের জ্বালা “, বহু বছর আগে বড়িশার এই অঞ্চলের কিছু মানুষ দূর্গা প্রতিমা গড়ে তাদের সংসার চালাতেন। তাদের মধ্যে এক মৃৎশিল্পী স্বপ্ন ছিল নিজের বাড়িতে দূর্গা পূজা করার, কিন্তু পয়সার অভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছিল না. কোনও এক বছর তিনি নিজের বাড়ির মাটি খুঁড়তে গিয়ে চতুর্ভূজা লক্ষি প্রতিমার সন্ধান পান. সেই রাতেই তিনি দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশ পান এবং নিজের বাড়িতে দূর্গা পুজো শুরু করেন। তার দূর্গা প্রতিমার আদল স্বপ্নে দেখতে পাওয়া পঞ্চদশী কন্যার আদলেই গড়া হয়. ধীরে ধীরে অঞ্চলটি ফকিরচাঁদের আটচালা নাম পরিচিত হতে শুরু করে. কালের আবর্তনে সেই দূর্গা পুজো করার দায়িত্ব আসে উদয়ন পল্লী সার্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটির উদ্যক্তাদেড় কাছে এবং তারা সেই কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে চলেছেন। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ১৪,০০,০০০ টাকা।
৪১ পল্লী ক্লাব : ৬২ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল ৪১ পল্লী ক্লাব। শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” আগন্তক “, আমাদের জীবনে নানা সময় আসা খবর আমাদের নানা রকম আবেগ বের করতে সাহায্য করে. কিছু খবর আসায় আমরা খুশি হই, আবার কিছু খবর শুনে আমরা দুঃখ প্রকাশ করি. এই সব রকম আবেগই আমরা মায়ের কাছে প্রকাশ করে থাকি। জীবনের সেই সব দিক গুলোকেই তুলে ধরেছেন শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৪০,০০,০০০ টাকা। প্রতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
শীতলতলা কিশোর সংঘ : ১৬ তম বর্ষে থিম পুজোর বেড়াজাল টপকে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে শীতলতলা কিশোর সংঘ. শিল্পী সোভান মিত্রর পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” নবরূপে সাবেকিয়ানা “,আগেকার দিনে জমিদার বাড়ির পুজো মানেই মানুষ বুঝতো ভরপুর আনন্দ। কালের আবর্তনে বাড়ির পুজোর সাথে সাথে বারোয়ারি পুজোর জনপ্রিয়তাও যথেষ্ট বেড়েছে। বর্তমানে দূর্গা পুজোয় নানা রকম থিম করাটা অন্যান্য সাধারণ ব্যাপারে মতো একটি ব্যাপার। কোন ক্লাব কতটা ভালো থিম করতে পারল সেই নিয়ে তৈরী হয়েছে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার মাঝে পুজোর আনন্দটাই হারাতে বসেছে সাধারণ মানুষ। সেই আনন্দই ফিরিয়ে ফিতে চাইছে শীতলতলা কিশোর সংঘ. এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৫,০০,০০০ টাকা। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব : ৫৪ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। শিল্পী প্রশান্ত পালের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” মাগো ও জীবন বেঁচে থাকা দায় “, মানব জীবন বিশুদ্ধ জল ও খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল। জীব জগৎ ও প্রাণীকুল উভয়ই জলের মহাত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। মানুষের তৈরী নানা সমস্যার জেরে জীব জগৎ ও প্রাণীকুল উভয়ই বিশুদ্ধ জল, বাতাস ও পরিবেশ পেতে ব্যর্থ। এই সব ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন করতে বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের এই নিবেদন। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ১০,০০,০০০ টাকা। প্রতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
অজেয় সংহতি : ৫৯ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল অজেয় সংহতি। শিল্পী তারকনাথ দাসের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” পরস্পরা “, হাজরিবাগ জেলার কর্নপুরা উপত্যকার বলে জঙ্গলে ঘেরা কুর্মি, গুঞ্জু, ওঁরাও, প্রজাপতি প্রভৃতি আদিবাদীর বাস. এই সব অঞ্চলে ১০,০০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দের প্রস্তর ছিটের মিল পাওয়া যায়. সেই অঞ্চলের আদিবাসীরা বংশ পরম্পরায় সেই সব দেওয়াল চিত্র রক্ষা করে আসছেন। ভারতবর্ষের বহু এলাকার মানুষ এই সভতার সাথে পরিচিত নয়. এই গ্রাম্য চিত্রকলাকে নিজেদের মন্ডপে জায়গা দিয়ে জনপ্রিয়তার প্রথম ধাপে নিয়ে এসেছে অজেয় সংহতি। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ১৫,০০,০০০ টাকা। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
বড়িশা তরুণ তীর্থ : ৩৫ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল বড়িশা তরুণ তীর্থ। শিল্পী জয় ঘোষের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” রাঙিয়ে দেব রঙে রঙে , মা এসেছে তুলির টানে “, বর্তমান সমাজ ধূসর মানবতায় ঘেরা। বিভিন্ন রকম দূষণের জেড়ে হারিয়েছে সব রঙ. জীবনের প্রায় সব রঙ হারিয়ে মানুষ আজ রামধনুর সন্ধানে বেরিয়েছে। সেই রামধনুর কিছুটা হদিশ মেলে উৎসবের মাঝে। মানুষের দূষণভরা জীবনে খুশির রামধনু প্রদান করতে বড়িশা তরুণ তীর্থর এই নিবেদন। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৫,০০,০০০ টাকা। প্ৰতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
হরিদেবপুর আর্দশ সমিতি : ৫১ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল হরিদেবপুর আর্দশ সমিতি। শিল্পী অয়ন সাহা ও মোহন মণ্ডলের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” নস্টালজিয়া “, আমাদের জীবনে স্মৃতি একটা বড় ভূমিকা পালন করে. স্মৃতির নৌকায় পা দিয়ে মানুষ বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। দূর্গা পুজোর নানা অভিজ্ঞতা মানুষের মনে দাগ কেটে গেছে। স্মৃতির মহাসাগরে ” নস্টালজিয়া ” একফালি সবুজদ্বীপ। সেই নস্টালজিয়াকেই সঙ্গী করে নিয়ে এসেছে মানুষকে এক নতুন দূর্গা পুজো উপহার দিয়েছেন শিল্পী অয়ন সাহা ও মোহন মণ্ডল। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
বড়িশা ক্লাব : ৩১ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল বড়িশা ক্লাব। শিল্পী রিন্টু দাসের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” তোমাদের বাড়ছে গতি, আমাদের দুর্গতি “, এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৪০,০০,০০০ টাকা। বর্তমান সমাজ ইন্টারনেটের বেড়াজালে আবদ্ধ। ২জি, ৩জি, ৪জি অথবা ৫জি, ধীরে ধীরে সব রকম ইন্টারনেট স্পীডের স্বাদ পাচ্ছে মানুষ। এই ইন্টারনেট স্পীডের নির্মম ফল ভোগ করছে পাখিরা। বর্তমান ইন্টারনেট স্পীডের ফলে বিপন্ন হতে চলেছে পাখিরা। এই ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে বড়িশা ক্লাবের এই বছরের নিবেদন। প্ৰতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
সোদপুর প্রগতি সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব : ৬২ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল সোদপুর প্রগতি সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব। শিল্পী সমীর চ্যাটার্জীর পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” ঐতিহ্য ও আধুনিকার বন্ধনে, মা ভুবনেশ্বরীর ভবনে “, এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা। মা ভুবনেশ্বরী হলেন মা দুর্গার দশমহাবিদ্যা রূপের অন্যতম একটি রূপ. তিনি দেবাদিদেব মহাদেবের সমস্ত লীলাবিভূতির সহচরী। তার সৌম্য ও অঙ্গকান্তি অরুণবর্ণ দ্বারা ভক্তদের তিনি অভয় প্রদান করেন। পুরান মতে, দুর্গম নামক এক অসুরের অত্যাচারে ভীত হয়ে দেবতারা দেবীর আরাধনা করেন। সেই আরাধনায় তুষ্ট হয়ে দেবী নিজের সহস্র অশ্রুধারা দিয়ে মর্তের মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ করেন। বর্তমান পৃথিবীর দূষণ ও জল সংকটকে দূর করতে সোদপুর প্রগতি সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এই নিবেদন। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
স্বর্ণা পাড়া বড়িশা সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি : ৭১ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল স্বর্ণা পাড়া বড়িশা সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” পালক “, এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৬০,০০,০০০ টাকা। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
উন্নয়নী সংঘ : ৭০ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল উন্নয়নী সংঘ. শিল্পী সুশোভন সাউয়ের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” মায়ের ঘরে, সাইকেল চড়ে “, বর্তমান দূষণময় পরিবেশে সাইকেলই হল এমন এক যানবাহন যার দ্বারা কোনো রকম দূষণ পরিবেশে ছড়িয়ে পরে না. তাই সাইকেলে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন চাকা, হ্যান্ডেল, সিট্, বেল, ব্রেক, ক্রু, সিটকভার ইত্যাদির সাহায্যে নিজেদের মন্ডপ আদল গড়েছেন উন্নয়নী সংঘের শিল্পীরা। সাইকেলকে রোজকার জীবনের সঙ্গী হিসেবে তুলে ধরেছেন তারা। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা। প্ৰতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
প্রগতি সংঘ : ৬৫ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল প্রগতি সংঘ. শিল্পী সঞ্জয় বর্মনের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” উৎসব “, ভারতবর্ষে নানা ধর্মের মানুষ বসবাস করেন। তাদের পূজা অর্চনার রীতিনীতি আলাদা রকম. কিন্তু গভীর মনযোগের সাথে দেখলে বোঝা যাবে আদতে শুরুমাত্র নামের হের্ ফের, বাকি সবটাই এক. রাজস্থানে যে দেব – দেবী গাঙগৌরি রূপে পূজিত, সেই দেব – দেবী বাংলায় শিব – পার্বতী রূপে পূজিত। এই মিলকে সকলের সামনে তুলে ধরতেই রাজস্থানের গাঙগৌরির পূজার আদলে তাদের মন্ডপ সাজিয়েছেন প্রগতি সংঘের শিল্পীরা।এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
পশ্চিম পুটিয়ারী পল্লী উন্নয়ন সমিতি : ৬৫ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল পশ্চিম পুটিয়ারী পল্লী উন্নয়ন সমিতি। শিল্পী সুমিত দাস ও অঞ্জন ভট্টাচার্যের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” অবাক হন্টন “, ভারতবর্ষে নৃত্য যথেষ্ট জনপ্রিয়। সেই নৃত্যের গল্প শোনাতে পশ্চিম পুটিয়ারী পল্লী উন্নয়ন সমিতির শিল্পীরা তাদের পূজা মন্ডপ সাজিয়েছেন। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৭.৫০ লক্ষ টাকা। প্ৰতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
বড়িশা ইউথ ক্লাব : ৪০ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে এল বড়িশা ইউথ ক্লাব। শিল্পী গঙ্গাধর মুখার্জীর পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” বংশালোক “. কবিগুরু বলে গিয়েছিলেন, ” আরো আরো আরো আলো দাও “. কবিগুরুর সেই কথাকেই মাথায় রেখে আলো এবং বাঁশকে বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন বড়িশা ইউথ ক্লাবের শিল্পীরা। এই বছরের উপস্থাপনায় মোট খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।