পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে ঢাক বাজাচ্ছেন নারীরা।
ঢাক বাজানোর মতো একটা পুরুষালি পেশায় এখন নারীরাও
প্রেরণা দত্ত : “আমরা নারী ,আমরা পারি ” এ শুধু কথার কথা নয়। আজ প্রথা ভেঙে পশ্চিমবঙ্গের অনেক নারীই বাজাচ্ছেন পূজার ঢাক। ঢাকে কাঠি পড়া মানেই পূজা এসে গেল।আর তারা সেই ঢাকই কাঁধে ঢাক তুলে নিচ্ছেন, গোটা একটা মণ্ডপ গড়ে ফেলছেন।নারীরা মূলত পুজোর আয়োজন এর দায়িত্বে থাকে ,তবে পশ্চিমবঙ্গে সেই পুরুষকেন্দ্রিক দুর্গাপূজার চিরাচরিত প্রথা কিছু ক্ষেত্রে হলেও ভাঙ্গা হচ্ছে।
নারীরা যে শুধুই পূজার যোগাড়যন্ত্র করছেন তা নয়, বাস ও চালাচ্ছেন। তাই তিনি কোথাও এক সাধারণ নারী হওয়া সত্বেও তাঁর অনন্য পেশার কারণে হয়ে উঠছেন দুর্গাপূজার ‘থিম’ বা বিষয়ভাবনা।যদিও সংখ্যাটা এখনও হাতে গোনা, তবুও কলকাতার দুর্গাপূজায় বেশ কিছুজন নারী প্রথা ভেঙ্গে এগিয়ে এসেছেন।যাঁদের উদ্দেশ্যে বলা, তারাও নারী – কেউ গৃহবধূ, কেউ স্কুল ছাত্রী, কেউ অন্য কোনও কাজ থেকে এখন শুধুই ঢাকি।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মসলন্দপুরের নারী ঢাকিলের অন্যতম সদস্য মানসী দত্ত।গুরু শিবপদ দাস মেয়েদের নিয়ে ঢাকের দল গড়েছিলেন।সেই দলেই আরেক সদস্য গৃহবধূ সুলতা মালি মিস্ত্রি এবং দলের কনিষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে একজন প্রার্থনা দাস স্কুলে পড়েন। নারীরা আবার কিছুটা অন্যভাবেও হাজির দক্ষিণ পূর্ব কলকাতার একটি নামকরা পূজার প্যান্ডেলে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুর্গম অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম থেকে আসা নারীরাই ওই মণ্ডপের অঙ্গসজ্জা হাতে তৈরি করেছেন।
নারীরা যেমন কেউ ঢাক বাজাচ্ছেন, কেউ মণ্ডপ গড়ছেন বা কেউ নিজেই পূজামণ্ডপের মূল ভাবনা হয়ে উঠেছেন, তেমনই অনেক পূজার গোটাটাই সামলাচ্ছেন নারীরাই।পূজাটাই যখন নারীশক্তির উদ্দেশ্যেই,তখন পূজা সামলানো বা ঢাক বাজানো অথবা প্যান্ডেল তৈরি এমন কি,যেখানে তারা মহাকাশে যেতে পারে, যুদ্ধবিমান চালাতে পারে