Economy Finance

পেয়াঁজের পর এবার হেঁশেলে জোর ধাক্কা দিতে হাজির হবে চিনি।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একদিকে খারাপ, তার উপরে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে সব জিনিসের দাম, নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

@ দেবশ্রী : এমনিতেই হেঁশেল সামলাতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রথমে পেয়াঁজ তারপর ডাল এরপর আরও একবার সাধারণ মানুষের মাথায় পড়তে চলেছে হাত। এবার বছরের শেষের দিকেও তুমুল গতিতে বাড়তে চলেছে জিনিস পত্রের দাম। আর এই ভাবে বেড়ে চলা দাম নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তবে সরকারি উদ্যোগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেয়াঁজের দাম কম করা হলেও, মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য তা আকাশ ছোঁয়া দাম। এরই মাঝে তৈরী হতে চলেছে নতুন অস্বস্তি, মধ্যবিত্তদের জন্য। বাড়তে চলেছে চিনির দামও।

কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ৮.৫ লক্ষ মেট্রিক খোলা বাজারে বিক্রি করা হবে। তবে বিগত সময়ের থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিনির উত্‍পাদনে এক বড়সড় পতন এসেছে। ৩৫ শতাংশ উত্‍পাদন কমে ৪৮.৮ লক্ষ টনে দাঁড়িয়েছে চিনির উত্‍পাদন। মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে চিনির উত্‍পাদন কম হওয়াতেই এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। সেপ্টেম্বরে চিনির উত্‍পাদন ছিল ৭০.৫ লক্ষ টন। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ৪০৬ টিবেসরকারি মিলে চিনির আখ পেষন করা হয়েছে।আর তার আগের মাস গুলিতে সেখানে ৪৭৩ মিলে পেষাই করা হয়েছিল চিনি।

সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে চিনির উত্‍পাদন গত বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। একই সঙ্গে আখ পেষাইয়ের পরিমাণ গুজরাত ১.৫২ লক্ষ টন, বিহারে ১.৩৫ লক্ষ টন, পঞ্জাবে ৭৫ হাজার, তামিলনাড়ুতে ৭৩ হাজার, হরিয়ানাতে ৬৫ হাজার টন, মধ্যপ্রদেশে ৩৫ হাজার টন, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৩০ হাজার টন চিনির উত্‍পাদন হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে চিনির উত্‍পাদন ২১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২.৬ কোটি টন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ নতুন বছরেও হেঁশেল নিয়ে মানুষকে হতে হবে নাজেহাল।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: