Economy Finance

পেয়াঁজ বিক্রি করেই কোটিপতি কৃষি।

বাজারে পেয়াঁজে হাত দিতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ সেই সময় পেয়াঁজ চাষ করেই বাজিমাত করলেন বেঙ্গালুরুর এক কৃষক।

@ দেবশ্রী : বর্তমানে পেয়াঁজের দাম অগ্নিতুল্য বললে কিছু ভুল হবে না। এইপেয়াঁজের কারণেই হেঁশেল সামলাতে একরকম হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পেয়াঁজ কেনা কমাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পিঁয়াজ না দিয়ে কী করে রান্না করা যায়, এখন সেই উপায় অনুসন্ধানে ব্যস্ত মানুষ। মহার্ঘ‌্য পিঁয়াজের ঝাঁঝে দেশের অর্থনীতি থেকে রাজনীতি উভয় ক্ষেত্র বেশ সরগরম। কিন্তু এই মূল‌্যবৃদ্ধিই কারও কারও জীবনে নিয়ে এসেছে ‘সৌভাগ‌্য’। যেমন কর্ণাটকের এক পিঁয়াজ চাষি। ঋণ জর্জরিত এই চাষি রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন শুধুমাত্র এই পেয়াঁজের কারনে। যা কিনতে যাওয়ার আগে মানুষ দশবার ভাবেন।

শুনে কাল্পনিক বলে মনে হলেও তা ঠিক প্রমাণ করে দেখিয়েছেন ৪২ বছর বয়সী চাষি মল্লিকার্জুন। ভারতের বেঙ্গালুরের এই চাষি ঋণ করে প্রথম পিঁয়াজের চারা কেনেন। সেদিন অনেক বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। আজ সেই ঝুঁকির ফল তিনি পাচ্ছেন। কারণ, চাষ শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই পিঁয়াজ তাঁর পরিবারের ভাগ্য পালটে দেয়। দেখা যায় তাঁর জমিতে পিঁয়াজের ফলন হয় প্রচুর। এর পরিমাণ প্রায় ২৪০ টন, অর্থাত্‍ ২০ ট্রাকের সমান।

আর কাকতালীয়ভাবে বাজারে ঠিক ওই সময়ে পিঁয়াজের কেজি ছিল ২০০ টাকা। কয়েক সপ্তাহ আগেই কর্ণাটকের কিছু কিছু অঞ্চলে পিঁয়াজের দাম ‘ডবল সেঞ্চুরি’ করেছিল। আর তখনই পিঁয়াজ বিক্রি করে কোটিপতি হন এই চাষি। চারা বাবদ মল্লিকার্জুনা বিনিয়োগ করেছিলেন মোট ১৫ লক্ষ টাকা। তাঁর আশা ছিল হয়তো খুব জোর পিঁয়াজ থেকে তাঁর ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হতে পারে। কিন্তু সেই প্রত‌্যাশাকে ছাড়িয়ে এখন তিনি হয়েছেন কোটিপতি।

বেঙ্গালুরু শহরের মল্লিকার্জুনা এখন রীতিমতো সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন। তাঁকে নিয়ে সোশ‌্যাল মিডিয়ায় চারিদিকে আলোচনার ছড়াছড়ি। অনেকেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। তাঁরা সবাই শুনতে চাইছেন তাঁর সাফল্যের গল্প। মল্লিকার্জুনা বলেছেন, ”আমি আমার সব ঋণ শোধ করে দিয়েছি। আমার ভবিষ্যত্‍ পরিকল্পনা একটা বাড়ি করার এবং সঙ্গে জমি কিনে কৃষিকাজে ব্যবহার করা।” উল্লেখ্য, তিনি এখন প্রায় ১০ একর জমির মালিক। এই জমিতে কৃষিকাজে নিয়জিত আছে ৫০ জনের মতো কৃষিশ্রমিক।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: