প্রশাসন পালন করতে পারছে না নিজেদের দায়িত্ব, তাই পুলিশ অধিকারীক মেয়েদের জামা নিয়ে করছেন কুমন্তব্য।
দেওয়া হচ্ছে না দেশের মেয়েদেরকে যথার্থ সুরক্ষা। সেখানে দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে ছোট জামা পড়া মেয়েদের মেরে দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিক।
@ দেবশ্রী : যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বাড়ছে মহিলাদের উপর যৌন অত্যাচার। আর সেই ঘটনা কোনোভাবেই আটকাতে পারছে না প্রশাসন। কেবল দিচ্ছে আশ্বাস। ঠিক এমন সময়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়লেন গুরুগ্রামের এক পুলিশ আধিকারিক। ডিউটিতে থাকাকালীন ওই আধিকারিক বলেন, যে সমস্ত মেয়েরা ছোটখাট পোশাক পরে রাস্তায় বের হন, তাদেরকে মেরে ফেলা উচিত। তিনি আরও বলেন, হয় তাঁদের মা-বাবারা মেরে ফেলুক নয়তো অন্যদের হাতে মারার দায়িত্ব দিক।
ওই পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, আমার বিশ্বাস মেয়েদের ইচ্ছাতেই এই ধর্ষণ কিংবা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কোনও পুরুষই কিন্তু রাক্ষস নয়। ছোটখাট পোশাক পরা মেয়েদের মা-বাবারা সন্তানদের ঠিক মতো শিক্ষা দিতে পারেননি। কোন পোশাক পরতে হবে সেটা পর্যন্ত তাঁরা শেখাননি। ওই সমস্ত মেয়েদের পড়াশুনা, খাওয়া, ঘুমের নির্দিষ্ট কোনও সময়ের ঠিক থাকে না। অপরাধকে তাঁরাই নিজে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর তাঁরা বলেন পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। এই রকম ঘটনা দেখলে হাততালি দিতে ইচ্ছে করে।
তিনি আরও বলেন, এখনকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। মরা পুলিশরা ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে চাই। কিন্তু এই মেয়েরা প্রচন্ড উগ্র। সবসময় ছোট পোশাক পরে। এরপরই লাজলজ্জাহীন ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘কিছুদিন আগের ঘটনা। আমি হুদা সিটি সেন্টারে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। একজন মেয়ের পোশাক দেখে চমকে যাই। মেয়েটির কোমরের নিচে কোনও পোশাক ছিল না। এমনকি কোমর অবধি পোশাকটি চেরা ছিল। বুকে ছিল দুটো ট্যাটু। এগুলো কী ধরণের পোশাক? এরকম মেয়েকে, তার পরিবারের লোকজনেরই উচিত মেরে ফেলা।
আজকের সমাজে মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত নয়। বারবার প্রশ্ন উঠেছে তাদের সুরক্ষার। প্রশাসন এর থেকে সাহায্য চাওয়া হয় বহুবার। কিন্তু এখানে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে না পেরে মেয়েদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে গোটা পুলিশ জাতকেই অপমান করে ফেললেন ওই আধিকারিক। আর তার এই মন্তব্যকে নিয়ে তার মধ্যে কোনো রকম অনুশোচনা পর্যন্ত নেই। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে চলছে সমালোচনা।