প্রাণ হারাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবুও কোনো পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের।
অধিকারের দাবিতে লড়তে গিয়ে করতে হচ্ছে অনশন, পৌঁছাতে হচ্ছে হাসপাতালের বিছানাতে। কিন্তু সরকার মহল থেকে এখনও পর্যন্ত ভ্রুক্ষেপ করা হচ্ছে না এই বিষয়ে।
@ দেবশ্রী : নিজেদের ন্যায্য দাবি ছিনিয়ে আনতে আন্দলনের পথে নেমেছেন রাজ্যের নানা প্রান্তের পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাদের দাবি যতক্ষণ না মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষন তারা নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনরত অবস্থাতেই ব্রেনস্ট্রোক হয় এক পার্শ্ব শিক্ষকের। তাপস বর নামের ওই শিক্ষকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। তাঁর অবস্থা এই মুহূর্তে খুবই আশঙ্কাজনক। সেই অবস্থাতেই তাকে এই মুহূর্তে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এইরূপ অবস্থার শিকার তাপস বাবু এক হননি, অনশন করতে গিয়ে, ৪ দিনের মাথায় গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরও এক পার্শ্ব শিক্ষক। তাঁর নাম, আবদুল ওয়াহাব। আবদুল বাবু মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। আন্দোলনকারী পার্শ্ব শিক্ষকদের নেতা ভাগীরথ ঘোষ জানান যে, আবদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে তাকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। তাই তাঁকে সল্টলেকের করুণাময়ীর কাছে আনন্দলোক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
অন্যদিকে, আন্দোলনে অংশরত পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের বাসিন্দা রেবতী রাউৎ, অবস্থান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিজের প্রাণ হারান।
এই ভাবে দিনের পর দিন, অনশন করে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই অনশনের জেরে মারা যাচ্ছে মানুষ, গুরুতর ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু তাও টনক নড়ছেনা সরকারের। এতো গুলো মানুষের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে তও কিছু কেন করছেন প্রশাসন ? উত্তর জানতে চাইলে তারাও রয়েছে চুপ।