বছরের শেষ সূর্যগ্রহণের স্বাক্ষী হলেন গোটা দেশবাসী।
সূর্য গ্রহণের অপেক্ষায় ছিলেন সকল দেশবাসী, কেউ দেখতে পেলেন স্পষ্ট কেউবা স্বল্প।

@ দেবশ্রী : আজ ছিল এই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। আর তা দেখার জন্যেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সকল শহরবাসী। তবে খুব স্পষ্টভাবে না হলেও কিছুক্ষনের জন্য দেখা যায় আংশিক সূর্য গ্রহণ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সূর্য গ্রহণ দেখার জন্য উত্সুক হয়ে ছিলেন সকল শহরবাসী। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিল শহরবাসী। পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ চশমার মাধ্যমে সূর্য গ্রহণ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
কলকাতার বিভিন্ন বড় বাড়ির ছাদেও ভিড় করেছিলেন মানুষজন।
তবে সকাল থেকেই মেঘ জমে ছিল আকাশে। তাই পরিষ্কার ভাবে না হলেও কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অল্প কিছু সময়ের জন্য হলেও চাক্ষুস করা গেল আংশিক সূর্যগ্রহণ। আসলে চাঁদের আড়াল থেকে সূর্য বলয়ের যে সামান্য জ্যোতি ঠিকরে বেরিয়ে আসবে তা দেখে আমার-আপনার-আমাদের সবারই মনে হতে পারে যে, আকাশে যেন একটা আগুনের আংটি দেখা যাচ্ছে। আর সেটি এক দুর্লভ দৃশ্য। এই গ্রহণে সূর্ষের সম্পূর্ণ অংশ চাঁদের আড়ালে ঢাকা পড়ে না। তার ফলে সূর্যের বাইরের অংশটি উজ্জ্বল বলয়ের আকারে দেখা যায়।
এই সূর্য গ্রহণ হয় পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের আপেক্ষিক দূরত্বের ফারাকের কারণে হয়। তবে বলয়গ্রাস এ বার শুধু দক্ষিণ ভারতের একাংশ থেকেই দেখা সম্ভব হয়েছে। ভারতের কেরল এবং আরব যুক্তরাজ্যের দুবাই থেকে পূর্ণ গ্রহণ দেখা গিয়েছে।