বন্ধই হচ্ছে না জঘন্য অপরাধ, আবারও হায়দরাবাদে ধর্ষণের পর মৃত্যু নির্যাতিতার !
যতই মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুক না কেন, একাংশ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নোংরা অপরাধ, ভয় পাচ্ছে না কিছুতেই।
@ দেবশ্রী : আবারও ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কোনোরকম ভয় নেই অপরাধীদের মনে। উল্টে বেড়ে যাচ্ছে অপরাধের ঘটনা। হায়দরাবাদ কান্ড ঘটার পরে আতঙ্কের মধ্যে ছিল মানুষ। কিভাবে কেউ এমন নৃশংস অপরাধ ঘটাতে পারে ? কিন্তু আবারও ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল হায়দরাবাদের নিজামাবাদে। গত বুধবার বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর অভিযুক্ত যুবক জেলের এক বন্ধুকে ফোন করে। বন্ধুর ফোনটি রিসিভ করে তাঁর স্ত্রী। এর ঠিক তিনদিন পর স্বামীর মামলার শুনানির জন্য আদালত যান বিউটিশিয়ান মহিলা। সেখানেই আলাপ হয় স্বামীর বন্ধু তথা অভিযুক্ত যুবকের সাথে। এরপর থেকেই অভিযুক্ত যুবক নানা ধরনের উপহার দিয়ে গৃহবধূর বিশ্বাস অর্জন করতে থাকে। এমনকি মহিলাকে বলে সে দু’কোটি টাকা উপার্জন করেছে। সেই অর্থ রয়েছে লুকানো। সেই সব অর্থ গৃহবধূকে দিতে চায়। মহিলা স্বামীর বন্ধুর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বাইকে চেপে তাঁর সাথে মেদাকে যায়। আর সেখানে গিয়েই মহিলা বুঝতে পারে তাঁর জন্যে ফাঁদ পাতা হয়েছে।
সেখান থেকে সে পালানোর চেষ্টা করলে প্রথমে তাঁকে ধর্ষণ করে তারপর গলা কেটে পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেয় নিজামাবাদের বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের অভিযুক্ত যুবক। এরপর মহিলার সকল নথিপত্র লোপাট করে দিয়ে মহিলার বাইকেই বাড়ি ফিরে এসে গাড়ির নম্বর বদলে ফেলে অভিযুক্ত যুবক। এরপর সমস্ত ঘটনা মহিলার স্বামীর ফোন কল দেখেই তদন্ত করে গত বুধবার ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।