বর্ষবরণের রাতে দূষণ রুখতে, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নয়া পদক্ষেপ।
মানুষের আনন্দের কারনে, বেশিরভাগ সময়েই পরিবেশের অনেক ক্ষতি হয়, বৃদ্ধিই পায় দূষণের পরিমান। তা বন্ধ করতেই এবারে লাগানো হল কিছু পা বন্দি।

@ দেবশ্রী : কদিন পরেই হতে চলেছে নতুন বছরের শুভ সূচনা। আর নতুন বছর মানেই চারিদিকে উৎসব, নাচ গান, পিকনিক, বাজি ফাটানো। আনন্দে মাতোয়ারা থাকবে সব মানুষ। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে ক্ষতি হবে পরিবেশের। তাই যাতে দূষণের মাত্রা না ছড়ায় সেই জন্য নেওয়া হচ্ছে যথেষ্ট পদক্ষেপ। বর্ষবরণের রাতে শুধুমাত্র রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্তই বাজি ফাটানো যাবে। যদি এই নিয়ম কেউ ভঙ্গ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় সমস্ত থানাকে এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান, বাজি ফাটানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কলকাতা তথা শহরতলির বড় বড় ক্লাব, হোটেল এবং আবাসনকে নোটিশ আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাত ১০টার পর কোনওরকম মাইক বা ডি জে বাজানো যাবে না। দিনের সময় মাইক বাজালেও সাউন্ড লিমিটার যন্ত্র ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক বলে পর্ষদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পর্ষদের দেওয়া নির্দেশিকা যাতে সর্বত্র মেনে চলা হয়, সেবিষয়ে থানাগুলিকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০টির বেশি ক্লাব এবং হোটেলকে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। সেই হোটেল এবং ক্লাবগুলিকে বড়দিন থেকে নতুন বছরের সূচনায় কী কী করা যাবে, আর কী কী করা যাবে না— সেবিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বাজি ফাটানোর সময়সীমা যাতে সকলে মেনে চলে সেবিষয়ে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের পক্ষ থেকে।
বছরের শেষ হতে না হতেই চারিদিকে পিকনিকের মরশুম শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পিকনিক স্পটে প্লাস্টিক, থার্মোকল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন হতে নাগরিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে পর্ষদের পক্ষে। বিশেষ করে বনাঞ্চল লাগোয়া পিকনিক স্পট, নদীর ধার, বিনোদন পার্কে থার্মোকল বা প্লাস্টিকের সামগ্রী না করতে অনুরোধ করা হচ্ছে পর্ষদের পক্ষ থেকে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনক বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করতে বলা হয়েছে।