বাঁকুড়া জেলার পৌর নির্বাচনের হাল হকিকত : সার্ভে চলছে
রাজ্য জুড়ো পৌরনির্বাচন কে কেন্দ্র করে তোড়জোড় শুরু হয়েগেছে বেশ কিছুদিন আগেই। রাজনৈতিক দর-কষাকষি শুরু হয়েছিল আগেই। কিন্তু সির্ধান্তের অপেক্ষা ছিল, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর।
@ নগরকীর্তন: ২০১৫ নির্বাচনে, বাঁকুড়া জেলার ৩টি পৌরসভা, বাঁকুড়া, সোনামুখী ও বিষ্ণুপুর।নির্বাচনের প্রাক প্রাথমিক অবস্থান এর সমীক্ষা সূত্র …
বাঁকুড়া পৌরসভা : বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি আসন। ১২টি আসন পেয়েছিল টিএমসি, ১ পেয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস, ২টি পেয়েছে বিজেপি, সিপিআই পেয়েছে ১টি, সিপিআইএম পেয়েছে ৪টি। নির্দল পেয়েছিল ৪টি। বর্তমান অবস্থায় এই ২৪ আসনের বাঁকুড়া পৌরসভায় ২০১৬ সালে সিপিআইএম এর ৩ জন যুক্ত হন, তৃণমূলে সঙ্গে ৪জন নির্দল। অর্থাৎ ১৯ আসনের দখল নিয়ে টিএমসি বাঁকুড়া পৌরসভা চালাচ্ছে।
বিষ্ণুপুর পৌরসভা : ১৯ আসন বিশিষ্ট এই পৌরসভায় তৃণমূলের দখলে ১৬টি। কংগ্রেসের ভান্ডার এখানে শূন্য। বিজেপি পায় ২টি। বামেরা এখানে কোন আসন পায়নি। নির্দল পেয়েছে ১টি।
সোনামুখী পৌরসভা : ১৫ আসন বিশিষ্ট এই পৌরসভায়, তৃণমূলের দখলে ৯, জাতীয় কংগ্রেসে ও বিজেপির ভান্ডার শূন্য। বামেরা পায় ৬টি আসন।
২০১৫ এর পৌর নির্বাচনের পর ২০১৬ এর বিধানসভা ও ১৯ এর লোকসভা সব মিলিয়ে ভোটার বাক্সে অবস্থান যেমন পরিবর্তন হয়েছে তেমনি বিপক্ষের জেতা আসনের অনেক পৌর প্রধানই অঘোষিত-ঘোষিত ভাবে তারা তৃনমূলে যুক্ত হয়েছিলেন। বাঁকুড়ার পৌর সভায় বামেদের ৫ আসনের মধ্যে ২ পৌর প্রতিনিধি যুক্ত হয়েছিল তৃণমূলে। এবং সোনামুখী পৌরসভার ৬ জন বাম পৌর প্রতিনিধির মধ্যে ২ জন যুক্ত হয়েছে তৃণমূলে।
২০১৬ এর নির্বাচনের পরবর্তী ক্ষেত্রে দল বদলের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। স্রোতের মুখ ছিল তৃণমূলের দিকে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে মাঝের ৩ বছরে টানাপোড়নে পৌর প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক সির্ধান্ত বদল হওয়াতে, দলে আছে কিন্তু সঙ্গে নেই, সুযোগের অপেক্ষায় সুবিধার পরিমান মেপে গোপনে চলছে দর কষাকষি।
বাঁকুড়াতে বিজেপির চোরা স্রোত বইছে। তৃণমূলের বিপক্ষে এবং তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বহু মানুষের সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও বাম ও কংগ্রেসের একজোট ও এনআরসির বিপক্ষে জোর সওয়ালে মরা গাঙে জোয়ার আসতে পারে, বাম কংগ্রেসের জোটে। তবে সবটাই নির্ভর করবে বিগত দিনের বিশ্বাসযোগ্য মুখ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভরসাযোগ্য অবস্থানগত ব্যক্তিকে যদি প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে তাহলে লড়াইয়ের অন্য মাত্রা তৈরী হবে (চলবে ) ।