বাড়তি পেয়াঁজের দামের উপর লাগাম লাগাতে রাজ্য সরকারের নয়া উদ্যোগ।
ক্রমশ বেড়েই চলেছে পেয়াঁজের দাম। হেঁশেল চালানো মুশকিল হচ্ছে, আর তার দায় অনেকটাই কেন্দ্রের এমনটাই জানালেন রাজ্য আধিকারিক।
@ দেবশ্রী : এই মুহূর্তে প্রত্যেকটা বাড়ি হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে হেঁশেল সামলাতে। ক্রমশই বেড়ে চলেছে পেয়াঁজের দাম। গত চার মাসে রাজ্যে ২০ টাকা থেকে ১৫০ ছুঁয়েছে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম। হেঁশেল সামলানো সত্যি এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যতই দাম হোক না কেন, এক প্রকার বাধ্য হয়েই পেয়াঁজ কিনছেন রাজ্যবাসী।
কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার প্রায় সব বাজারেই ১২০ টাকা থেকে ১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেয়াঁজ। এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার নেয় একটা বড় সির্ধান্ত। এবার মিশর থেকে ৮০০ টন পেঁয়াজ রাজ্যে আমদানি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গোটা বিষয়টির তত্ত্বাবধানে রয়েছে ন্যাফেড (NAFED)।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “প্রতি সপ্তাহে ২০০টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।সবমিলিয়ে ৮০০ টন পেঁয়াজ আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কলকাতায় খুব বেশি হলেও ৬৫ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হবে পেঁয়াজ।”
পেঁয়াজের লাগাতার দাম বৃদ্ধি নিয়েও শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত।রাজ্যের বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রকেই দুষছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের আধিকারিকের কথায়, “গোটা ঘটনাটায় যদি কেন্দ্র কয়েকদিন আগে নজর দিত, তাহলে বেলাগাম পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি কিছুটা হলেও রুখে দেওয়া সম্ভব হত, কিন্তু কেন্দ্র তেমনটা কিছুই করেনি।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্র গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করলে এক মাস আগেই শ্রীলঙ্কা থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।তাহলে আর এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি অন্তত ৫৫ টাকার কাছাকাছি হত।”
প্রতি মাসে নাসিক থেকে বাংলায় ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ আসে।কিন্তু চলতি বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য পেঁয়াজের ফলন অনেকটাই কম হয়। আর এর ফলেই কমেছে আমদানি। যার জেরে চরচরিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। তবে এবারে পেয়াঁজের আকাশ ছোঁয়া দামের উপর লাগাম লাগাতে চলেছে, রাজ্য সরকার। এবারে আশা করা যাচ্ছে যে, রাজ্যের মানুষ একটু নিশ্চিন্তে এবার হেঁশেল সামলাতে পারবেন।