“বিধান নগরের মেয়র কি রাতে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রীট যাবেন না মুকুলের বাড়ী” কোথায় যাবেন ? : জল্পনা তুঙ্গে !
রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে গুঞ্জন উড়ছে ভুয়ো খবর। "মঙ্গলের ময় আর শনির ছায়া " কাটাবেন কি করে ?
সব্যসাচী দত্ত মেয়র বিধাননগরের কিন্তু শেষ মুহূর্তেও সাবধানী। তৃণমূল ভবনের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি তিনি , বিধাননগরের দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের কথা ।যখন তোলপাড় চলছে তৃণমূলের অন্দরে, তখনও মুখে কুলুপ এঁটে বসে রইলেন তিনি , সব্যসাচী দত্ত বললেন, ‘শোনা কথার ওপরে ভিত্তি করে কিছু বলব না।’
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুরমন্ত্রী বলেন, “শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাই এই মিটিং। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করেন, দল তাহলে ব্যবস্থা নেবে। এখন আমি কিছু বলা মানে, আমিও দলের শৃঙ্খলা ভাঙলাম। আমার নামেও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে রিপোর্ট পড়বে। তাহলে আমার আর সব্যসাচীর মধ্যে পার্থক্য কী রইল?” ফিরহাদ হাকিম বলেন , “যা সিদ্ধান্ত নেবে, দল নেবে। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নেবে। আমি এই বৈঠকে অবজার্ভার হিসেবে এসেছিলাম।”
সূত্রের খবর বিধান নগর নির্বাচনের পর ববি হাকিম নাকি চেয়ে ছিলেন তাপস চ্যাটার্জী মেয়র হোক , কিন্তু সব্যসাচী দত্ত মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের পছুন্দদের কারণে ববির ইচ্ছা প্রকাশ হয় নি। পৌরক্ষেত্রে সরকারি আলোচনা ছাড়া কোন সে ভাবে যোগাযোগ ছিল না।
রাজার হাট , সেক্টর ফাইভ সব ক্ষেত্রে দখল ছিল সব্যসাচীর। অপর দিকে কাকুলি ঘোষদস্তিদার ,সুজিত বসু ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সাথে সমানে টক্কর অঞ্চল দখল নিয়ে। ভেরি থেকে জমির দখল , সিন্ডিকেট থেকে প্রোমোটিং সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে সব্যসাচী। তথ্য যা বলে ২০১৯ এর লোক সভা নির্বাচনেও সব্যসাচী না থাকলে হেরে যেতেন কাকুলি।
সব্যসাচী বাম ঘরের ছেলে হলেও প্রথমে কংগ্রেস ও পরে মমতার অনুগামী হয়ে তৃণমূল। বাবা ছিলেন লক্ষি বিয়ানী , যিনি আলিমুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ আইনজীবী। তাহলেও সুজিত, কাকুলি দলে পরে আসা তাপস চ্যাটার্জী থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ববি হেকিম সব সময় সহযোগী হলেও চূড়ান্ত প্রতিযুগিতা ছিল। সূত্রের খবর ২০১৬ তে বিধানসভার নির্বাচনে মন্ত্রীসভা ঘঠনের সময় সব্যসাচীর নাম এসে ছিল কিন্তু অনেকের আপত্তিতে বাদ চলে যায়। শুরু থেকেই মুকুল রায়ের সাথে সুসম্পর্ক ছিল , সেই কারণে সাব্যসাচীকে কে খুব একটা বিরক্ত করতো না অনেকেই । এলাকা দখল নিয়ে বরাবরের সমস্যা ছিল কাকুলি ঘোষ দস্তিদারের সাথে। গুলি বোমা থেকে খুন সব কিছুই হয়েছে। সিন্ডিকেটের বখরাও বিতর্কের আরেকটি বিষয়। অনেক সময় ২১ জুলাই থেকে নেতাজি ইন্ডোরের মিটিং সে ভাবে গুরুত্ব পাননি সব্যসাচী ২০১৫ পর থেকে। তৃণমূল দলে থাকলেও স্বাধীন ভাবে কাজ করার প্রবণতা সব্যসাচী কে বিতর্কের মুখে ফেলেছে।
এখন দেখার আজ রাতে কি সব্যসাচী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করবেন গোপনে না মুকুলের কাছে যাবেন, না চুপ করে বসে নিজের দুর্গ রক্ষা করবেন।