বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রার মধ্যেও পথে ভোগান্তি মানুষের
অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি পার্কিং হবে না বিভিন্ন জায়গায়, তীব্র যানজট এর স্বীকার হতে হবে সাধারণ মানুষকে
প্রেরনা দত্ত : আজ বিকেল চারটেয় রেড রোডে শুরু পুজোর কার্নিভাল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতার মেগা ইভেন্ট এর মধ্যেও সাধারণ মানুষ এর ভোগান্তি। শহরের একাধির রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। দুপুর দুটো থেকে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত গাড়ি পার্কিং হবে না চৌরঙ্গী রোড, জেএল নেহরু রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, কুইন্সওয়ে, মেয়ো রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, হেয়ার স্ট্রিট, আরএন মুখার্জি রোডে। এ ছাড়া প্রয়োজনে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা অন্য রাস্তায় গাড়ি ঘোরাতে পারবেন বলে কমিশনার জানিয়েছেন। খিদিরপুর রোড থেকে হেস্টিংস ক্রসিং এবং লাভার্স লেনে যান চলাচল বন্ধ থাকবে দুপুর দুটো থেকে। এ ছাড়া রেড রোডে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ন’টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
ফলে কার্নিভাল থেকে প্রতিমা ও ট্যাবলো নিয়ে ঘাটে যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় তীব্র যানজট হবে। কিংস ওয়ে এবং বাবুঘাটেও যানজটে নাকাল হতে হবে সাধারণ মানুষকে।ফলে আজকে সন্ধ্যার পরে মধ্য ও উত্তর কলকাতায় সেই যানজট তীব্র আকার নেয়। উত্তর কলকাতার একাধিক পুজো কমিটি কার্নিভালের শেষে আহিরীটোলা ঘাটে যাওয়ার সময়ে গোটা ধর্মতলা চত্বর, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও মহাত্মা গাঁধী রোড-সহ উত্তরের একাধিক রাস্তায় গাড়ির চাকা থেমে থেমে চলবে। স্টিকার লাগানো গাড়ি যেতে পারবে জে এল নেহেরু রোড থেকে পশ্চিমমুখী মেয়ো রোড হয়ে।আসনে বসে কার্নিভাল দেখার জন্য ছাড়পত্র হাতে পেয়েও রেড রোডে ঢুকতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয় অনেককেই। আসন সংখ্যার তুলনায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় ভিড়ের চাপে অনেককেই মাঝপথে বেরিয়ে আসতে হয় । শোভাযাত্রার জন্য বদলে গিয়েছে ধর্মতলা চত্বর। সেজে উঠেছে শহরের কেন্দ্রস্থল। তুলে ধরা হয়েছে রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলি , যেমন কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজশ্রী, সমব্যাথী, এমনকী দিদিকে বলো বোর্ডও রয়েছে। এছাড়া আলোর রোশনাইয়ে ফুটে উঠেছে দেবদেবীর মূর্তি। কিন্তু সাধারণ মানুষ যাদের বেরোতেই হয় ,অফিস ও যাওয়ার আছে তারা কখন ফিরবে সেই নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে তাদের মনে । ক্যাবচালক রাও ও সময় বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ আগেও উঠেছে।