ভাইরাল হওয়া গায়িকা রানু মণ্ডল প্রথম গান গাইলেন হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে।
প্রতিভা, প্রযুক্তি সঙ্গে ইচ্ছে আর সঠিক অভিভাবক , সবকটা মিলেই আজ রানু মুম্বাইয়ে
রানাঘাটের স্টেশনে ভিক্ষে করা থেকে আজকের এই রাস্তা তাঁর কাছে স্বপ্নের থেকে কম কিছু নয়। বলিউডে প্লে ব্যাক করছেন রানু , তবে সাফল্য পাবেন কিনা জানে না। পুরো সহানুভুতির ওপর দাঁড়িয়ে আগামীতে সফল হবেন সেটাও বলা যায় না কারণ যে কোন পেশাতে সফল হতে গেলে নিষ্ঠা , পরিশ্রম ,যোগাযোগ ও বিনিয়োগ সবমিলিয়ে সাফল্য আসে।
রানাঘাটের ভাইরাল হওয়া সেই রানু দেখিয়ে দিলেন গুন থাকলে তার কদর পাওয়া যায়। স্বপ্ন যে তার এভাবে বাস্তব রূপ নেবে হয়তো তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি৷যদি সত্যি প্রতিভা থেকে থাকে তাহলে বেশি সময় লাগে না ভাগ্য বদলাতে ।
গায়ক ইমেশ রেশমিয়া তাঁর ট্যুইটারে রেকর্ডিঙের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন তাঁর নিজের ছবি হ্যাপি হার্ডির জন্য গানের রেকর্ডিং করালেন তিনি। ছবিতে অভিনয় করেছেন হিমেশ নিজেই। আর সেই ছবিতে প্লে ব্যাক করছেন রানু।তাঁর গানের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই রাতারাতি অনেকের নজরে চলে আসেন তিনি।
আর অফার শেষ নেই থেকে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে অনেক অফার আসতে থাকে।এরই মধ্যে একটি রিয়্যালিটি শো থেকেও ডাক পান তিনি।সঠিক পরিচয় পত্র না থাকায় যাওয়া নাও হতে পারে।
রানু নিজের কথা বলতে গিয়ে চোখের কোন জল , মুম্বইয়ের বাবুল মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রানু মণ্ডলের। স্বামী মারা যাওয়ার পর রানাঘাটে ফিরে আসেন তিনি।কেও সাহায্য করে নি , পশে থাকা আত্বিয়স্বজনরাও সরে গেছিলেন সেদিন। না নিজের বারো না বাপের বাড়ির দিকের লোকেরা। রেলস্টেশনে ঘুরে ঘুরেই গান গাইতেন। তারপর তাঁর গাওয়া গানের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। এবার স্টেশন থেকে সেই রানু সোজা পৌঁছে গেলেন মুম্বইয়ের গান রেকর্ডিং স্টুডিয়োয়।
তবে দুটো বিষয় এই স্নেহশীল বিষয় কতটা রানু কে সাহায্য করবে আগামীতে সেটা বলা কঠিন। সব কিছুই সহানুভূতিতে হয় না। ম্মুম্বাইয়ে গানের জগতে ফাটকা বিষয়ে অনেকেই কিছু দিনের জন্যে লাভের বিষয় হলেও তা দীর্ঘ্য স্থায়ী হয় না। আর যদি সেভাবে মুম্বাই আর কলকাতার দালালদের হাতে পরে , তাহলে নিশ্চিত ভাবে রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে একেবারে পড়ার মাচায় চলে আসবেন সস্তার পয়সার জন্য। এ যেন সাপ লুডোর খেলা।