ভারতের আর্থিক অবস্থা তলানিতে যাবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে : আশঙ্খা RBI এর !
লাগামহীন খরচ , বেহিসেবি পরিকল্পনা। প্রচার মুখী সরকার মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনায় ব্যর্থ। বিগত ৬ বছরে মানুষের সার্বিক আয় নিন্মমুখী
দেশের আর্থিক অবস্থা আরো খারাপ হবে , সম্প্রতি একটি রিপোর্টে RBI সরকারকে সতর্ক করেছে , বলাই বাহুল্য এটা প্রথম বার নয় এর আগেও অনেকবার RBI সতর্ক করেছে। এই নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ের কমিটি বলেছে এখনই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আগামীদিনে সমগ্র দেশ বিপদের মধ্যে পড়বে। GST ফেরত না দিলে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পড়বে বিপদের মধ্যে। এই কমিটি আরো বলেছে রিয়েল এস্টেট ও অটোমোবাইল সেক্টরে ধস নেমেছে , অন্যান্য ক্ষেত্রের অবস্থাও ভালো নয়। নতুন করে কোন ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগ কারীরা আসছে না , ব্যাঙ্ক এদের ঋণ দিতে টালবাহানা করছে। ফলে নতুন উদ্যোগ বিসবাও জলে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি নতুন কর্ম সংঠন সৃষ্টি করতে ব্যর্থ , ফলে প্রচার অনুযায় বাস্তবের চিত্রটা একেবারে আলাদা।
গত সেপ্টেম্বর থেকে বারংবার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ্য ব্যাঙ্ক , মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। সঞ্চয়ের পরিমান সেভাবে বাড়েনি। সঞ্চয়ের উপর ব্যবহারিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার জন্য তা গচ্ছিত রেখেছে। আবার সুদের হার কমে যাওয়ায় মানুষ বড় বিপাকে। ফলে দেশের মানুষের কাছে ভালো থাকার থেকে বেঁচে থাকাটাই একমাত্র লক্ষ্য। প্রতিদিনের বাজারে মান বড় নিন্ম মুখী , কেনা কাটার লোক থাকলেও পরিমান কমে গেছে। ফলে চলতি বাজারে মজুতের পরিমাণও কম। কোন ব্যবসায়ী অতিরিক্ত ভরসা করতে পারছেনা। ফলে ফাটকা বাজারের উৎপত্তি হতে পারে। অন্যদিকে মজুত বাজারেও ধস নামছে। ফলে চাহিদা থাকলেও কেনার ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বাজারের ভারসাম্য থাকছে না। এর ফলে যে ইঙ্গিত দিচ্ছে বর্তমানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তা হল দেশ বড় সংকট ময় অবস্থার দিকে লেগেছে।
বৃহৎ শিল্পে লাগাতার ছাটাই প্রক্রিয়া চলছে। লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি হাতে চলে যাচ্ছে। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্র নেই বললেই চলে। চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের প্রবণতা বাড়ায় সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্র তলানিতে। ফলে সার্বিক বিভাবে এই ইঙ্গিত বড় হতাশাজনক। তার থেকেও বড় কথা অনিশ্চয়তার মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ বছরের মানুষ যারা দেশের উৎপাদন ব্যবস্থার ধারক। কারণ নতুন নিয়োগ নেই , চুক্তির ভিত্তিতে কাজ , নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ নির্বাহের ক্ষেত্রে গুণগত মানের অবনমন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার ধরার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। সরকারের জটিল নীতির ফলে ক্ষুদ্র শিল্পও বিপাকে। কোম্পানি রেজিস্টেশন ও তার নিয়মাবলী বড় কঠিন পথে। ট্যাক্স সংক্রান্ত অভিযোগতো বরাবরই ছিল। সব মিলিয়ে বিপদে বিপাকে দেশ।