পল্লবী : ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশানাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম ভারতকে নিয়ে বিশেষ রকমের চিন্তা প্রকাশ করল । ২০২০ তে প্রকাশিত নিজেদের রিপোর্টে তারা জানিয়ে তারা ভারতকে ‘Particular Concern’ -র দেশ বলেছে মানুষের স্বাধীন ধর্মাচরণের নিরিখে । তাদের মতে এখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নিয়মিত হস্তক্ষেপ হচ্ছে এবং যা কার্যকলাপ হচ্ছে তাতে প্রতি মুহূর্তে এই স্বাধীনতা হরণ হচ্ছে । তাদের আরও পরিষ্কার দাবি কেন্দ্র সরকার সংখ্যা লঘুদের ওপর হিংসায় অনুমতি দিচ্ছে । এর মধ্যে রয়েছে ঘৃণা উদ্রেককারী বক্তৃতা এবং হিংসায় উস্কানি দেওয়ার মতো ঘটনা ।
ভারত সরকারের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে একপেশে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মন্তব্য নতুন কিছু নয় । তবে এবার যে স্তরে পৌঁছেছে তা একেবারে নতুন । এটা একটা সংস্থার নিজেদের মত এবং এটার প্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নেব । ‘ মার্কিন ফেডারাল গর্ভমেন্টে কমিশনের একটি স্বাধীন সংস্থা এইUSCIRF । এর কাজ সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি অফ স্টেট ও ইউ এস কংগ্রেসকে জানানো ।
যে দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রশ্নের সম্মুখে তাতে মোট ১৪ টি দেশ রয়েছে । এর মধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৯ টি দেশকে CPC-র মধ্যে ফেলেছে । এর মধ্যে ছিল মায়নামার, চিন, এরিত্রা, ইরান, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান , সৌদি আরব, তাজাকিস্তান ও তুর্কেমেনিস্তান । এবার এই তালিকায় আরও পাঁচটি দেশ যুক্ত হল যার মধ্যে রয়েছে ভারত, নাইজেরিয়া, রাশিয়া, সিরিয়া ও ভিয়েতনাম। বার্ষিক রিপোর্টে ভারতের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট এবং অসমের নাগরিক পঞ্জীকে । অর্থাত্ CAA ও NRC কে। এতে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি নেতারা সারা দেশে এনআরসি চাপাতে চায়। এর সঙ্গে সিএএ দিয়ে শুধুমাত্র মুসলিমদেরই কোনঠাসা করে চিহ্নিতকরণের কাজ হচ্ছে ।
USCIRF-র চেয়ার টনি পারকিন্স জানিয়েছেন ভারত নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল তখন দেখা যায় সেখানে একটা ঝোঁক রয়েছে যেখানে ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের ওপর আক্রমণের। ভাইস চেয়ারম্যান নাদিন মেঞ্জা জানিয়েছেন ‘এই বিষয়টি গভীর চিন্তার । এটা এই মুহূর্তের সবচেয়ে চিন্তার যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে এটা ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা । ‘
উল্লেখ্য, এটি সকলেরই জ্ঞাতব্য বিষয় যে ভারত একাধারে হলো একটি সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের দেশ। যেখানে বহু ধর্মের মানুষ দেশের স্বাধীনতার সময় থেকে এক সঙ্গে বাস করছে। একদিকে ভারতের জন্য এটি একটি বিরাট গর্ভের বিষয় কিন্তু অন্যদিক থেকে দেখতে গেলে এখনো পর্যন্ত ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতভেদ মতপার্থক্য লেগেই থাকে সেই দিক দেখতে গেলে সামান্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। USCIRF র প্রস্তাব মার্কিন সরকার এই বিষয়ে নজর রাখুক । ভারত সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও আধিকারিকরা এই মারাত্মক নীতি ভাঙার কাজে র জন্য দায়ি । যারা নিয়মিত ব্যক্তির ধর্মীয় স্বাধীনতায় হাত দিচ্ছে। পাশাপাশি মার্কিন মুলুকের তাদের প্রবেশে বাধা তৈরি করছে ।