ভূস্বর্গের মাটন রেসিপি দিয়ে বদলে নিতে পারেন ছুটির দিনের মাংসের ঝোল – ভাত
একঘেয়ে মাংসের ঝোলের পরিবর্তে ছুটির দিনে খেয়ে দেখুন না কাশ্মীরি মাটন।
শীর্ষা সেন : মাটন মানেই বাঙালির ইমোশান। আর মাংসের ঝোল মানে সঙ্গে থাকবে আলুর টুকরো আর কব্জি ডোবানো ঝোল। তা বলে যে স্বাদ বদল হবে না এটা ভুল কথা। তাই ছুটির দিনে কি করে
রোজকার মাটন -এর রেসিপি বদলে কাশ্মীরি মাটন বানাবেন তা জানতে হলে প্রতিবেদনটি কিন্তু অবশ্যই পড়ে দেখে নিতে হবে।
বাচ্ছা থেকে বড় সকলেরই কিন্তু পছন্দ মাটন। রেসিপির যদি একটু পরিবর্তন হয় তাহলে তারা কিন্তু খুব একটা অসুখি হবে তা কিন্তু নয়। তাই একটা ছুটির দিন দেখে বানিয়েই ফেলুন কাশ্মীরি মাটন। মাটন খাওয়ায় বিধিনিষেধ থাকলে একই পদ্ধতিতে চিকেন দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন এই রান্না। কাশ্মীরি মাটনের খুঁটিনাটির রইল হদিশ।
কাশ্মীরি মাটন
যে কোনো কাশ্মীরি রান্নায় থাকে মিষ্টির প্রাধান্য। কিন্তু এই রান্না অন্য রেসিপির থেকে একটু ভিন্ন। এখানে মিষ্টির ভাগ বেশি হবে না , আপনার নিজের স্বাদ অনুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারবেন মিষ্টির পরিমান।
উপকরণ
মাটন : ৫০০ গ্রাম
জল ঝরানো টক দই : ১/২ কাপ
গোটা গরম মশলা : ১ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি : ১ চা চামচ
সর্ষের তেল : আধ কাপ
চিনি : ১ চা চামচ
নুন : স্বাদ মতো
তেজপাতা : কয়েকটি
বাটা মশলা উপকরণ :
রসুন : ১০ কোয়া
মৌরি : ১/২ চা চামচ
গোলমরিচ : ১০টি
হিং : সামান্য পরিমানে
নারকেল কোরা : ৪ টেবিল চামচ
দুধ : সামান্য পরিমানে
জলে ভেজানো কাশ্মীরি গোটা লঙ্কা : স্বাদ অনুযায়ী
জিরে : ১ চা চামচ
রতনযোগ : এক চিমটে
প্রণালী
মাটন ভাল করে ধুয়ে তাতে নুন ও দই মাখিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। এ বার কড়ায় তেল গরম করে তাতে গরম মশলা, তেজপাতা ও হিং ফোড়ন দিন। ফোড়ন তৈরি হয়ে গেলে চিনি ও পিঁয়াজ কুচি দিয়ে একসঙ্গে ভাজুন। লালচে হয়ে এলে এতে দই মাখানো মাংস দিয়ে অল্প কষিয়ে নিন। রতনযোগ দিন এখনই। মাংস থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে আধ কাপ জল যোগ করে গোটা রান্নাটাই প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। দুটো সিটি হলেই নামিয়ে নিন প্রেশার থেকে। কিছু ক্ষণ এই অবস্থায় রেখে দিলে ভাপে মাংস আরও কিছুটা সেদ্ধ হয়ে যাবে।
এ বার আবার পুরোটাকে কড়ায় ঢেলে অন্যান্য পেষা মশলাগুলো মিশিয়ে আবারও ভাল করে কষে নিন। কষতে কষতে ফের জল ছাড়বে মাংসের গা থেকে। কষা শেষ হলে উপর থেকে আরও কিছুটা নারকেল কোড়ানো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন কাশ্মীরি মাটন।