Science & Tech

মঙ্গলে জলের অস্তিত্ব নিয়ে আরও বড়ো প্রমান ,সুবিশাল হ্রদের হদিশ মিললো মঙ্গলে

২০২০ সালে কিউরিওসিটির কাজ শেষ হবে। মঙ্গলে নামবে কিউরিওসিটি বিগ সিস্টার। তার আগেই খেল দেখাল কিউরিওসিটি।

প্রেরনা দত্ত : প্রথম পথের দিশা দেখিয়েছিলো ইসরোর মঙ্গলযান। নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটি যে ছবি পাঠিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় চাঞ্চ্যলকর তথ্য।মঙ্গলে জলের উৎস নিয়ে একরকম নিশ্চিত মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। তাদের দাবি, মঙ্গলে সাড়ে ৩০০ কোটি বছর আগে জলাশয়ের অস্তিত্ব ছিল। ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ জলাশয়ের প্রমাণ মিলেছে।নাসার রোভারের কৌতূহলী চোখে ধরা পড়ল, সেই শুকিয়ে যাওয়া সুবিশাল হ্রদের খাত থেকে গা বেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আলো ঝলসানো নুনের পাহাড়। খাওয়ার নুন নয়। খনিজ লবণ। উচ্চতায় যা কম করে ৫০০ ফুট। যেন প্ল্যাটিনামের ভাণ্ডার! বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, সেই নুনের পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে এখনও লুকিয়ে রয়েছে প্রচুর জল।

নাসার রোভার এমন সব নমুনা খুঁজে পেয়েছে লাল গ্রহের সেই ‘গেইল ক্রেটার’ এলাকায়, যা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলে টলটলে জনা ভরা হ্রদটি ছিল অবিকল দক্ষিণ আমেরিকার আল্টিপ্ল্যানোতে লবণাক্ত কুইসকুইরো হ্রদের মতোই!মঙ্গলের রুখুসুখু পিঠে সেই প্রাচীন হ্রদের জল যে লবণাক্ত ছিল, তারও প্রমাণ পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।মঙ্গলের যে অংশে মরুদ্যানের হদিশ মিলেছে, সেখানেও পৌঁছতে অভিনব পরিকল্পনা বিজ্ঞানীদের। দক্ষিণ আমেরিকার আটাকামা মরুভূমিকে ট্রায়ালের জন্য বাছা হয়েছে । কারণ, আটাকামা মরুভূমি অনেকটাই মঙ্গলের রুক্ষসুক্ষ পিঠের মতো।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: