মমতা চাপে , সকাল সকাল রাজীব কুমার সিবিআই দফতরে : কি হয় আজ ?
সারদার পেনড্রাইভ থেকে লাল ডাইরি কি চাইতে পারে রাজীব কুমারের কাছে ? হিসেবে মিলছেনা অনেক তৃণমূল নেতার অঙ্কে । জোর গুঞ্জন লাল বাজার থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। তদন্ত যত এগোবে দল ছাড়ার সম্ভবনা তত বাড়বে কি ?
চলে এলেন রাজীব কুমার কিছুক্ষন আগে সিবিআই দফতরে , এড়াতে পারলেন না সিবিআইয়ের ডাক , কলকাতা হাই কোর্ট এর নির্দেশ আছে যখনি ডাকবে তখনি যেতে হবে রাজীব কুমার কে। এর আগে শিলংয়ে প্রায় ৪০ ঘণ্টা রাজীব কুমারকে জেরা করে সিবিআই। সূত্রে জানা যাচ্ছে , সারদা কাণ্ডে তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আর তাই ফের এ দিন তাঁকে তলব করা হয়।
সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন। জানা যাচ্ছে জেরা পর্ব শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে সারদা কাণ্ড ছাড়াও তাঁকে অন্যান্য চিটফান্ড মামলাতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে, রেকর্ড করা হবে বয়ানও। রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে চিটফান্ড কান্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট)গঠন করে। এই দলে প্রধান পদে ছিলেন রাজীব কুমার। কী ভূমিকা ছিল সেইসময় রাজীব কুমারের , সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের সঙ্গে কী কী নথি উদ্ধার হয়েছিল, তা জানতে চায় সিবিআই।
শেষের ২০ দিনে আট ট্রাঙ্ক ভর্তি সারদার নথি সিবিআইয়ে জমা করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা। তাহলে সারদার তদন্তের ক্ষেত্রে এই নথিগুলি গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তবে বলা বাহুল্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি সারদার সেই লাল ডায়েরি এবং পেনড্রাইভ, যা সারদা তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
কদিন আগে অর্ণব ঘোষকে জিগেসাবাদ করেছেন কেদ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বেরিয়ে এসেছে অনেক তথ্য , হতে পারে সেগুলো যাচাই করে আসল সূত্রে পৌঁছাতে পারে সিবিআই।
সারদার প্রথম তদন্তকারী অফিসার প্রভাকর নাথকে ও রাজ্য পুলিশের অফিসার দিলীপ হাজরা যিনি এই তদন্তে যুক্ত ছিলেন। হতে পারে সেখান দিয়ে কিছু সূত্র বাড়িয়ে এসেছে যা আজ রাজীব কুমার কে সামনে সামনি হতে পারে। চলতে পারে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ।
এর আগে শিলংয়ে ৪০ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করে সিবিআই রাজীব কুমার কে , পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজীব কুমার যে গ্রেফতারি এড়ানোর ‘রক্ষাকবচ’ পেয়েছিলেন কিন্তু তাও সইল না বেশিক্ষন- হতে হচ্ছে সামনে সামনি।
সারদা কান্ড নিয়ে অস্থির অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মচারীরা , ডাক পড়তে পারে আরও অনেক আধিকারিকের , বদনামের ভয়ে এড়িয়ে চলতে চাইলেও পারছেনা তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রী কে। রাজ্য ছাড়ার ভাবনায় অনেক আইপিএস।