মমতা :দুর্নীতি থেকে দূরে থাকা উচিৎ হাজরার প্রাক স্বাধীনতার মঞ্চ থেকে !
শোভনের বিজেপি যোগ তৃণমূল শিবির ঠিক মেনে নিতে নি। রত্নার পারিবারিক রাজনৈতিক জীবনও সংকট ময় তাই মমতা সহায়
স্ত্রী রত্নার হাজরার মোরে , স্বামী বিশেষ বান্ধবীকে নিয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে। খানিক তা বিমর্ষতা ঘিরে ধরেছে , অনেক কম কথা বললেন।
১) বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন রত্নাদেবী।
২) মন্ত্রিত্ব ও মেয়রের পদ থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা দেওয়ার পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিবাদ
৩) বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে রত্না দেবী বলেন, ‘অনৈতিক কাজ করল বিজেপি
৪) নিজের মেয়ে কে যে মানুষ সাহায্য করে না সে আবার কিসের মানুষ
৫) ওকে জিজ্ঞাসা করবেন ওর জীবনে আমার পরিবারের সাহায্য না থাকলে ও কিছুই করতে পারতো না। বলার কিছুই আর নেই !
সভায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,’পার্থ দা’কে বলছি রত্নাকে কাজে লাগাবেন।’
এর পর শোভন পত্নী রত্নার উদ্দেশ্যে বলেন তুমি দুঃখ পেও না। শ্বশুরবাড়ি, বাপের বাড়ি আছে, তোমার পাশে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারও। সারা ভারতের মহিলাদের পাশে রয়েছে তৃণমূল।’
রাজনৈতিক সমালোচকরা বলেন , আজকের ঘটনার এক অন্য মাত্রা যোগ করবে আগামী দিনের জন্য। কারণ অনেকেই তৃণমূলে থাকবো না মন নিয়ে তৃণমূল করলেও অপেক্ষা করছিলো দলের কোন বড় নেতা বিজেপিতে যাচ্ছে কি । শোভন দলের মধ্যে দীর্ঘ্য দিনের ভরসা যোগ্য মুখ ছিল। সূত্র মারফত জানা যায়, তৃণমূলের আর্থিক বিষয়ের অনেকটাই নির্ভর করতো শোভনের ওপর। তার ফলে নিচুতলার নেতা- কর্মীদের অক্সিজেন যোগাতো শোভন। অতয়েব শোভনে ভরসা অনেকের। পৌরনির্বাচনে এটা বোঝা যাবে শোভন চ্যাটার্জী বিজেপির অন্দরে কতটা রসদ জোগাতে পারে। তার ওপর নির্ভর করবে বিজেপি নেতা শোভন চ্যাটার্জির ভবিষ্যৎ। বলা বাহুল্য এখনো শোভন চ্যাটার্জী কিন্তু রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা কর্মীদের সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এখন দেখার যে এই দলবদলের পর কি এই নিরাপাত্তা কর্মীরা থাকে কিনা।