Culture

মহানগরী থেকে গাঁ-গঞ্জ— লক্ষ্মীপুজোয় চড়া বাজার সর্বত্র

আজ, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। অথচ, আনাজ এবং ফুল-ফলের দামে হাত পুড়ছে গৃহস্থের।

প্রেরনা দত্ত : লক্ষ্মীপুজোর বাজার আগুন।ফুলকপি থেকে তরমুজ, লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজারের দরে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের পকেটে।বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসবের শেষ নেই, ভাঁটা নেই আনন্দেরও। সেই আনন্দেই বাঁধ সাধছে দ্রব্যমূল্য।এক কেজি আপেল কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, কোথাও ১২০ টাকা। একটি কাঁঠালি কলা বিকোচ্ছে চার টাকায়! সোনার দামে বিকোচ্ছে ভোগের সামগ্রী। তাই লক্ষীপুজোর আয়োজন করতে গিয়ে লক্ষ্মীর ঝাঁপি উজাড় হওয়ার জোগার মধ্যবিত্তের। উত্তরের মানিকতলা বাজার থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাট, এমনকি শিয়ালদা স্টেশনের বাইরেও সবজিবাজারে আনাজপাতির দাম আকাশছোঁয়া।

 গড়িয়াহাট বাজারে নাসপাতির দর ছিল কিলো প্রতি ১০০ টাকা, পানিফল ৮০ টাকা, পেয়ারা ৬০-৮০ টাকা, আতা ২০০ টাকা, আনারস কিলো প্রতি ৬০-৭০ টাকা। ফুলের বাজারে একটি পদ্ম বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। মা লক্ষ্মীর নাড়ু তৈরির জন্য লাগে নারকেল। সেই নারকেল সাইজ অনুযায়ী ৫০ থেকে ৮০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে।১৫০-২০০ টাকার নীচে ছোট ছাঁচের প্রতিমা বাজারে নেই। মাঝারি মাপের প্রতিমার দাম ৪০০-৫০০ টাকা।  তা বলে বঙ্গবাসী কি আর মা লক্ষ্মীর আরাধোনা করতে বিরত থাকবে? তাই অল্প কেনাকাটা করেই নমো নমো করেই লক্ষ্মীপুজো সারছেন অনেকে।

ডিভিসি-র ছাড়া জলে কিছুদিন আগেই প্লাবিত হয়েছিল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এবং আমতার একাংশ। ফলে, বহু আনাজ নষ্ট হয়। হাওড়ার বিভিন্ন বাজারে আনাজের দর কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির পিছনে এটা একটা কারণ বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।জিনিসপত্রের দাম যেভাবে লাফিয়ে বেড়েছে তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্ত বাঙালির।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: