মহারাষ্ট্রে এক মাসের মধ্যেই আত্মঘাতী ৩০০ জন কৃষক !
অসময় ও অনাবৃষ্টির কারনে ভুগছেন কৃষকরা, উপায় না পেয়ে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ।
@ দেবশ্রী : আমাদের দেশে কৃষকদের গুরুত্ব অপরিসীম। কারন তাঁদেরকে ছাড়া আমরা অন্ন পেতাম না। কিন্তু প্রত্যেক বছর হাজারে হাজারে কৃষক মারা যান। কিন্তু কেউই খোঁজ রাখে না। গত বছর নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রে অনুষ্টিত হয় নির্বাচন। আর পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই মাসেই আত্মঘাতী হয়েছেন এ রাজ্যের ৩০০ জন কৃষক। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, গত চার বছরের মধ্যে এই মাসের এই সংখ্যাটাই সর্বাধিক। কারন হিসাবে জানা গেছে, অসময়ে বৃষ্টি হওয়ার কারনে, প্রচুর পরিমানে ফসল নষ্ট হয়েছে আর তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন কৃষকরা।
এই অকালবৃষ্টির জেরে অক্টোবর মাস থেকেই কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়তে থাকে। রাজস্ব দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ খারিফ শস্য নষ্ট হয়ে যায় বৃষ্টিতে। মরাঠবাড় এবং বিদর্ভের চাষিদের অবস্থা সবথেকে বেশি খারাপ হয়েছে এই পরিস্থিতিতে। এক মাসে মোট ২২২ জন কৃষকের আত্মহত্যার মামলা দায়ের হয়েছে ওই দুই এলাকা থেকে।
মহারাষ্ট্র সরকারের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে আড়াই হাজারেরও বেশি কৃষ্ক আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা কমার বদলে ক্রমশ তা বেড়েছে। তাই এবার থেকে অনাবৃষ্টি ও অকালবৃষ্টির জেরে ভুক্তভোগী কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ক্ষমতায় আসার পরে মহা আগড়ি জোট সরকার মাথাপিছু দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুব করার কথা ঘোষণা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে ৬,৫৫২ কোটি আর্থিক অনুদান দিয়েছে সরকার। তবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যার সমাধান করতে চাইলে ঋণ মকুব বা লোন নয়, মহারাষ্ট্রের কৃষকদের সমস্যার সমাধানের জন্য চাই কৃষিকে আরও লাভজনক করে তোলা। ফসল নষ্ট হওয়া রুখতে বড় পদক্ষেপ করা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। কেবল তখনই সম্ভব কৃকষকদের আত্মহত্যার পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা।