পল্লবী : করোনার জেরে হাঁফিয়ে উঠছে বসুন্ধরা। এর মারণ থাবা থেকে রক্ষা পায়নি কেউ। ক্ষতির মুখে আরো এগিয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটি সংস্থা। আর খেলার জগৎ ও মুক্তি পেলোনা এর থেকে। এই মুহূর্তে বন্ধ ইপিএল, লা লিগা, সিরি আ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগের মতো প্রথম সারির যাবতীয় ফুটবল লিগ । ইউরোপের যা পরিস্থিতি তাতে অদূর ভবিষ্যতে টা শুরু হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইউরোপিয়ান লিগগুলো কি আদৌ শেষ করা যাবে? ইপিএল, লা লিগা, সেরি আ-র মতো লিগ যাতে বর্তমান মরশুম শেষ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে অবশেষে নামল ফিফা ।
সোমবার ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী খুব শীঘ্রই ফিফা জানাতে চলেছে, যে প্রতিটা ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া হবে যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা মরশুম এগোতে বা পেছোতে পারে। কারোর উপর দ্রুত মরশুম শেষ করার কোনও ডেডলাইন দেওয়া হবে না। ফিফার এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিটা টেনশনের চোরাস্রোত কিছুটা হলেও কেটেছে ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল সংস্থার উপর থেকে। আবার এটাও ধরে নেওয়া হচ্ছে এ বারের ইপিএল বা লা লিগা শেষ করতে আর কোনও সমস্যা হবে না আয়োজকদের। সঙ্গে আবার ফিফা দলবদলের সময়েও বাড়িয়ে দেবে। যার ফলে ৩০ জুনের পরেও ফ্রি এজেন্ট হতে চলা ফুটবলারদেরও নতুন চুক্তি দিতে পারবে ক্লাবগুলো।
করোনার জেরে মাঝপথে লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ক্লাবগুলি। অনেকগুলি ম্যাচ না হওয়ায় আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। কথা হচ্ছে খেলোয়াড়দের বেতন কাটা নিয়েও। তাছাড়া লিগ যদি শেষ না হয়, তাহলে লিভারপুলের মতো ক্লাব যারা কিনা দীর্ঘদিন বাদে জাতীয় লিগ জয়ের আশায় বুক বেঁধেছে, তাঁরাও চূড়ান্ত হতাশ হবে। এই পরিস্থিতিতে ফিফা যদি লিগ শেষ করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয় তাহলে সবকটি ক্লাবই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে।করোনার জেরে বিভিন্ন দেশের ফুটবল সংস্থা যাতে আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ফিফা। প্রতিটি সদস্য দেশকে আর্থিক সহায়তার কোথাও ভাবা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আর্থিক অনটনের জন্যই স্থগিত ইস্টবেঙ্গল এর শতবর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠান।