Culture

মা ভুবনেশ্বরীর আবির্ভাব ঘটবে সোদপুর প্রগতি সংঘ : ছোট বাজেটের বড় পুজো

দশমহাবিদ্যা হলেন – কালী , তারা , ষোড়োশী , ভুবনেশ্বরী , ভৈরবী , ছিন্নমস্তা , ধূমাবতী , বগলা , মাতঙ্গী , কমলা । এবার আমরা দেখবো মা সারদার সাথে এই দশমহাবিদ্যার একাত্মতা । সকল মাতৃশক্তি এক ও অভিন্ন ।

পিতা দক্ষর অনিচ্ছা সর্তেও তাঁর কন্যা আদ্যাশক্তি ভগবতী সতী মহাদেবের গলায় বরমাল্য দিয়ে তাঁরই ভার্যা হলেন । ক্রুদ্ধ দক্ষ এই অপমানের প্রতিশোধ স্পৃহায় শিব হীন এক যজ্ঞের আয়োজন করলেন । যেখানে সকলকে আমন্ত্রণ করা হলেও সতী ও শিবকে আমন্ত্রণ করা হল না । সতী এই যজ্ঞের খবর পেয়ে পিত্রালয়ে যাবার অনুমতি চাইলে মহাদেব তাকে বুঝালেন শেষে মহাদেব দেবীকে যেতে বাধা দিলেন । ক্রুদ্ধ সতী তখন রেগে দশমহাবিদ্যার রূপ ধরলেন । মহাদেবও বুঝলেন মহামায়া আদিশক্তি কে বাধা দেওয়া যাবে না ।

দশমহাবিদ্যা হলেন – কালী , তারা , ষোড়োশী , ভুবনেশ্বরী , ভৈরবী , ছিন্নমস্তা , ধূমাবতী , বগলা , মাতঙ্গী , কমলা । এবার আমরা দেখবো মা সারদার সাথে এই দশমহাবিদ্যার একাত্মতা । সকল মাতৃশক্তি এক ও অভিন্ন ।

ভুবনেশ্বরী দেবী উদীয়মান সবিতার মতো প্রভাময়ী । তাঁর কপালে চন্দ্র মাথায় মুকুট । তিনি উন্নতস্তনী , ত্রিনয়না , স্মিত হাস্যা । তাঁর চার হাতে বর ও অভয়মুদ্রা পাশ ও অঙ্কুশ থাকে । দেবী পুরান মতে মূল প্রকৃতির

পুরাকালে দুর্গম নামক এক অসুর ব্রহ্মার বর পেয়ে ভীষন অত্যাচার শুরু করলো । বেদ গুলিকে অপহরণ করল । সেই দুরাচার দানবের অত্যাচারে পৃথিবী জলশূন্য ও খাদ্যশূন্য হলে দেবতারা মহামায়ার শরণে এলেন । দেবী আবির্ভূতা হলেন । তিনি দেখলেন পৃথিবী তে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা । তিনি শতাক্ষী নামক দেবীর রূপ ধরে তাঁর ১০০ চোখ দিয়ে রোদন করলেন । এতে পৃথিবী আবার জলে ভরে গেলো । তারপর তিনি শাকম্ভরী রূপ ধরে পৃথিবী বাসীকে শাক , পাতা , ফল , মূল জোগালেন । সন্তান কষ্টে থাকলে মা ও কষ্ট পান । এই দেবী সেই দুর্গম অসুরকে বধ করেন । তাই মায়ের এক নাম দুর্গা । দুর্গা দেবী ভক্ত দের দুর্গতি নাশ করেন ।

ভুবনেশ্বরী দেবী ক্ষুধা – তৃষ্ণায় মৃতপ্রায় জীবদের দিয়েছিলেন আহার , জল । সেরুপ মা সারদা কত দুঃখী ভক্তদের দিয়েছেন স্নেহের কোল । তিনি মা । সকলের মা । সর্ব জীবের মা । মমতাময়ী মা । এটিই মায়ের ভুবনেশ্বরী রূপ ।

ত্রিপুরভৈরবী – মা ভৈরবী রক্তবর্ণা , রক্ত বস্ত্র পরিহিতা । এঁনার কন্ঠে মুন্ডমালা । বক্ষদেশ রক্তচন্দন লেপিত । ইনি পদ্মাসীনা । এঁনার চার হাতে জপমালা , পুস্তক , বর ও অভয় মুদ্রা আছে । ইনি গুপ্ত যোগিনীর অধিষ্ঠাত্রী দেবী । এঁনার অনেক রুপ আছে । যেমন সিদ্ধিভৈরবী , চৈতন্য ভৈরবী , ভুবনেশ্বরী ভৈরবী , কমলেশ্বরী ভৈরবী , কামেশ্বরী ভৈরবী , নিত্যা ভৈরবী , কোলেশ ভৈরবী , রুদ্র ভৈরবী ইত্যাদি ।

আর কিছুটা সময়ের অপেক্ষা তার পরই সেজে উঠবে মা ভুবনেশ্বরীর, আর পাড়ার দুর্গারাও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন সকলেই। সঙ্গে থাকছে ভুঁড়ি ভুরিভোজের আয়োজন , তার সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথা অনুযায়ী নব প্রত্রিকা স্নান থেকে সুদূর খেলা থেকে হয়ে বিসর্জন সবটাই উৎসবের তালিকাতে আছে। মতের ওপর আসে পাশের সকলের মধ্যে জোর লড়াই।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: