মুক্তির পথে বাঁধা হয়ে কোটাবাসী।
'মর্দানি-২' দিয়ে কামব্যাক করতে যাচ্ছিলেন রানি, দর্শক রয়েছেন অধীর আগ্রহে, কিন্তু এখন অপেক্ষা করতে হবে অনির্দিষ্ট সময়কালের জন্য।

@ দেবশ্রী : আবারও বাঁধা সিনেমার মুক্তিতে। আইনি সমস্যায় এবার, রানি মুখার্জির কামব্যাক মুভি ‘মর্দানি-২’। যশ রাজ ফিল্মসের এই ছবির বিরুদ্ধে সেন্সর বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছেন কোটা শহরের বাসিন্দারা। রিলিজ হয়ে গেছে ছবির ট্রেলারও। এই ছবিতে, পুলিশ অফিসার শিবানী শিবাজী রায়ের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী রানিকে। ট্রেলারে তা অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। তবে সমস্যা দাঁড়িয়েছে, ছবিতে ব্যবহার শহরের নাম নিয়ে। কোটা শহরের নাম ব্যবহার করাতেই আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পরে, ‘মর্দানি-২’। ছবির প্রেক্ষাপট জুড়ে রয়েছে এই শহর। লোকেশন, সিক্যুয়েন্স সবের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে কোটার এক ভয়ঙ্কর দিক।
এই সিনেমার ট্রেলরে দেখানো হয়, কোটাতে হওয়া এক নৃশংস এবং নির্মম ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করতে শহরে হাজির হয়েছেন রানি ওরফে ইনস্পেকটর শিবানী শিবাজী রায়। এক খুনি এবং ধর্ষকের শিকার হয়েছেন কোটায় পড়তে আসা এক ছাত্রী। অভিযুক্ত ধর্ষককেও কোটার বাসিন্দা হিসেবেই দেখানো হয়েছে সিনেমার ট্রেলরে। আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন কোটাবাসী। ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনায় তাঁদের শহরের নাম জড়িয়ে ‘মর্দানি-২’ ছবির ট্রেলরে এতবার ব্যবহার হওয়াতেই বেজায় চটেছেন কোটাবাসী। তাঁদের সাফ দাবি এতবার কোটার নাম ব্যবহার করা যাবে না। ছবির দৃশ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে কোটার নাম।
কোটা পরিষদের পক্ষ থেকে সেন্সর বোর্ডের প্রধান প্রসূন জোশী, ছবির প্রযোজক আদিত্য চোপড়া, পরিচালক গোপী পুথরণকে তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। কোটা পরিষদের আইনজীবী অশ্বিন গর্গের দাবি, মর্দানি-২ সিনেমা থেকে বাদ দিতে হবে এই কোটা শহরের নাম। এমনকি কোটা শহরে শ্যুটিংয়ের বিভিন্ন দৃশ্যও ছবি থেকে বাদ দিতে হবে। দাবি না মানা হলে ছবির রিলিজ আটকাতে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। এর আগে কোটার সাংসদ এবং বর্তমান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন কোটাবাসী। সব শুনে স্পিকার নিজেও আপত্তি জানিয়ে ছবির পরিচালক-প্রযোজককে বলেন, কোনওভাবেই সিনেমায় নাম নেওয়া যাবে না কোটা শহরের।
এই মুহূর্তে মুক্তিতে আটকে রানীর সিনেমা। প্রযোজক রয়েছেন ধোঁয়াশায়। `