মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করলেন নবান্নে : হাত থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের রাস ,”বোমা-গুলির লড়াইয়ে রণক্ষেত্র ভাটপাড়া, মৃত্যু বেড়ে ৩”
না ফাটা বোমা রাস্তায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে । বারুদের দমবন্ধ করা ধোঁয়া,চার দিকে কাঁদানে গ্যাস আর ভারী বুটের শব্দ এ যেন আরেক কাশ্মীর। ভয়ে কুকড়ে আছে কাঁচরা পাড়া থেকে ভাটপাড়া।
ফাটছে বোমা চলছে গুলি, আশপাশে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা উড়ে আসছে । মিলছে বেওয়ারিশ গুলি ভরা পিস্তল রাস্তার ধারে। ভাটপাড়া বৃহস্পতিবার কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিল । সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত তিনজন মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অনেকে জখম, নিখোঁজ কম নয় । যারা আহত হলেন তাঁদের বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভাটপাড়ার নতুন থানার উদ্বোধন করতে রওনা হয়েও মাঝরাস্তা থেকে নবান্নে ফেরত যান ডিজি বীরেন্দ্র। পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়ে ওঠায় । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন,মুখ্যসচিব মলয় দে , স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি সহ শীর্ষ পুলিশ কর্তারাদেড় নিয়ে।বৈঠক শেষে সাংবাদিক দের স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘‘ভাটপাড়ায় বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী স্থানীয়দের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জগদ্দল এবং ভাটপাড়া থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার হয়েছে।” অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (দক্ষিণবঙ্গ) সঞ্জয় সিংহকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ডিজি বীরেন্দ্র বিকেল পাঁচটা নাগাদ ভাটপাড়া থানায় পৌঁছন ।

ডিজি বীরেন্দ্র ভাটপাড়ায় যাবার পরও বোমা বাজি থামে নি। বিক্ষোভ তৈরী হচ্ছে কেন এমন হচ্ছে , দুই পক্ষের মাথার গ্রেফতার হচ্ছে না কেন। কেন নিরেপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না কেন ? সূত্রের খবর তৃণমূলের সুপ্রিম রাতে আলোচনায় বসবেন বিশেষ কিছু নেতা ও বুদ্ধিজীবী সাথে আমলারা থাকবেন।