Education Opinion

মেধাবী ছাত্রী কৃত্তিকার ময়নাতদন্তে প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ফরেনসিক রিপোর্ট পুলিশের হাতে এলো।

প্লাস্টিকে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মেধাবী ছাত্রী কৃত্তিকার ,রিপোর্টে উল্লেখ, আত্মহত্যাপ্রবণ ছিল কৃত্তিকা।কৃত্তিকার বাম হাতের শিরা কাটা ছিল। নিজেই হাতের শিরা কেটেছিল কৃত্তিকা। ডান হাতের আঙুলে জোর কিছু চেপে ধরার দাগ রয়েছে। কোনও ধারালো, তীক্ষ্ম কিছুকে জোরে চেপে ধরলে এ ধরনের দাগ হয়ে থাকে।

শুক্রবার স্কুল চলাকালীন ১:৪৫ নাগাদ শৌচাগারে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। ৩৫ মিনিটেও না ফেরায় সন্দেহ হয় শিক্ষিকাদের। তার পর স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃত দেহ। কৃত্তিকার মুখ প্লাস্টিকে ঢাকা ছিল মুখ। দেহের পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল ব্লেড, রক্তে মাখা পেন, তিন পাতার সুইসাইড নোট। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল শৌচাগারের মেঝে।

জানা গেছে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে , আগের ক্লাসে সহপাঠীদের সঙ্গে হেসেই কথা বলছিল সে, স্বাভাবিক ছিল তাঁর আচরণ। তার পর পঞ্চম পিরিয়ড শেষ হতেই সে তাঁর সহপাঠীদের বলে তাঁর মাথা যন্ত্রণা করছে, তার পর কৃত্তিকা সিক রুমে যায় । সামনে আসছে এক বিশেষ তথ্য ১:২৯-এ সিক রুমে যাওয়ার বদলে সে সোজা বাথরুমে চলে যায়।

এরপর ষষ্ঠ পিরিয়ডে শিক্ষিকা তাঁর খোঁজ করলে, তিনি জানতে পারেন সে সিক রুমে গেছে । ষষ্ঠ পিরিয়ডও শেষ হয়ে যায় তখনও না ফেরায় শুরু হয় খোজ । সপ্তম পিরিয়ডে ফের তাঁর খোঁজ পড়ে। গোটা স্কুল খুঁজে ফেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে তাঁকে খুঁজতে যাওয়া হয় স্কুলের শৌচালয়ে। এর পর বন্ধ দরজার ওপর থেকে দেখা যায় শৌচালয়ের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কৃত্তিকা।

কৃত্তিকা কে যারা চেনেন তারা বললেন , শান্ত ও চাপা স্বভাবের ছিল কৃ্ত্তিকা। কম কথা বলত। বাবা-মা ছাড়া কোনও বন্ধু-বান্ধব বা তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে বাবা মায়ের কোন কথা জানা যাচ্ছে না , মূলত বাবা বাইরে কাজ করেন। মেয়ে কৃত্তিকার সত্যে ফোন যোগাযোগ থাকলেও একসাথে বাবাকে পাওয়া তাও খুব কম। এই সব নিয়ে পরিবারের ভূমিকা কি ছিল তাই খুঁজে বার করার চেষ্টা করার।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: