এবার মানতেই হবে খাবারে কিছু বাধা-নিষেধ, নইলে করোনার গ্রাসে উঠবেন আপনি স্বয়ং
পল্লবী : উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস এবং সর্বোপরি অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের হাত ধরেই কিন্তু COVID-19 ধীরে ধীরে জীবনের শেষ দিনগুলোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।তাই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে হলে ভারতীয়দের ডায়েট চার্টে বড়সড় বদল আনা দরকার। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন লন্ডনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম মালহোত্রা। তিনি নিজের ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত। নিজের পেশাদারি অভিজ্ঞতা থেকেই ভারতীয়দের প্রতি এই বার্তা তাঁর।
ডা. অসীম মালহোত্রার মতে, রোজকার খাবারের তালিকা থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। গ্লুকোজ, কার্বোহাইড্রেট একেবারে ন্যূনতম পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। কারণ, এই দুটিই সুগার বিশেষত টাইপ টু ডায়বেটিসের জন্ম দেয়। যা কিনা শরীরে করোনার গতিপথ আরও প্রশস্ত করে, তার ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সুবিধা করে। তাই এই সব যত দ্রুত সম্ভব বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
বছর বিয়াল্লিশের এই ভারতীয় চিকিত্সকের আপাতত লক্ষ্য, করোনা প্রতিরোধে সঠিক এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কী ভূমিকা, সে বিষয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করা। এই লক্ষ্যেই তিনি একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন। ‘এলিফ্যান্ট ইন দ্য রুম’ – বহুল প্রচলিত এই বাগধারা ব্যবহার করে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, স্থূলতা এবং অতিরিক্ত দৈহিক ওজনই সর্বনাশের মূল কারণ। ভারতবাসী নিজেদের জীবনযাত্রার কারণেই অনেক রোগের শিকার হন বলে মনে করেন ডা. অসীম মালহোত্রা। যদিও প্রায় একই ধরনের সমস্যা তিনি দেখেছেন আমেরিকা এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী মানুষজনের ক্ষেত্রে। রান্না করে যে কোনও খাবার খাওয়া যেতেই পারে, এমনকী রেড মিট বা অন্যান্য প্রাণীজ প্রোটিনের ক্ষেত্রে বাধা নেই। তবে প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যে থাকা অস্বাস্থ্যকর তৈল পদার্থ শরীরের বেশি ক্ষতি করে বলে সাবধান করছেন এই চিকিত্সক।
তাই বলে করোনার সাথে যুঝতে না খেয়ে থাকতে হবেনা। এই যে রসে-কষে বাঙালিরা শুনছেন ? হ্যাঁ আপনাদেরই বলছি , রবিবার এলেই যে সকালে পাঁঠার মাংসের সাথে মুগডাল আর লম্বা বেগুন ভাজা সঙ্গে রাত্রিবেলা রেঁস্তোরার ভোজ এবার যে তাতে লাগাম টানার সময় এসে গেছে আর যদি লাগাম না টানতে পারেন তবে আপনার খাওয়া তো চুকলোই তার সাথে বেঘোরে প্রাণটাও খোয়াতে পারেন। তাই সাবধান !