মোদী প্রভাবে রিসার্ভ ব্যাঙ্কের একের পর এক কর্তা বিদায়ের পথে: এবার বিরল আচার্য
রিসার্ভ ব্যাঙ্ক এর উপর হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকার স্বাধীনতা হারাচ্ছে। সংশয় সৃষ্টি হয়েছে সমগ্র ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়।
বিদায় বিরলেরও, পদ ছাড়লেন রাজন-উর্জিতের পথেই স্মরণ করে বেরিয়ে গেলেন। শুধু যে পরিচিত ছিলেন রঘুরাম রাজনের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে তা নয় তিনি নিজে খুবই কৃতি অর্থনীতির মানুষ। পিছিয়ে পড়া মানুষের আর্থিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করেছেন তিনি বিরল । বেশ কিছু দিন ধরে শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতার প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে ‘সংঘাতে’ গুরুর পথেই এ বার বিদায় নিলেন শিষ্য বিরল আচার্য। তার মেয়াদ শেষের ছ’মাস আগেই।
বিরল আচার্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ডেপুটি গভর্নর হওয়ার পর থেকে বরাবরই রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে রাজনীতির মুক্ত রাখার পক্ষে জোরদার সওয়াল করতেন ।কিছুদিন যাবৎ মোদী সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাতও শুরু শীর্ষ ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের নাক গলানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দেন । বিরল আচার্য যেখানে তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, তিনি বলে ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে মর্যাদা না দিলে বাজারের রোষের মুখে পড়তে হবে কেন্দ্রকে। অনেক গুলো নীতির বিষয়ে তিনি কথা বলেছিলেন যা কেন্দ্র সরকারের লাইন অফ পলিসির ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিরোধ হয়েছে বিগত দিনে । বিরল আচার্য কিন্তু ওই স্বাধীনতার বিষয়ে বরাবর একই রকম অনড় থেকে গিয়েছেন । তাই ব্যাঙ্ক কর্তাদের গুঞ্জন ছিল যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে উর্জিত পটেলের বিদায়ের পরে তাঁর ডেপুটির বিদায়ও অবশ্যম্ভাবী ছিল।
বিরল আচার্য এর কেরিয়ার গ্রাফ কিন্তু যথেষ্ট ভালো ১লা মার্চ ১৯৭৪ তার জন্ম ,রুপারেল কলেজ থেকে বিএসসি , আইআইটি মুম্বাই থেকে বিটেক , নিউ ওয়ার্ক ইউনিভার্সিটি থেকে গবেষণা। এর পর রিসার্ভ ব্যাঙ্ক এ পরামর্শ দাতা হিসেবে কাজ করেছেন , কাজকরেছেন সেবিতে ,নিসমে সহ একাধিক সংস্থায় কাজ করেছেন। তবে বিরল আচার্য এখনো জানান নি আগামীতে কোথায় যুক্ত হবেন।