যত দিন যাচ্ছে মানুষ হয়ে উঠছে আরও হিংস্র, ছাড়ছে না তরুণীকেও !
হচ্ছে না কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, তাই ক্রমশ বেড়েই চলেছে সাহস। রাস্তায় দিনে-দুপুরেও নেই কোনো নিরাপত্তা...
@ দেবশ্রী : আবারও কিছু মানুষবেশী পশুর শিকার হয় এক তরুণী। বৃহস্পতিবার হায়দারাবাদের অনতিদূরে শাদনগরে পাওয়া যায় একটি তরুণীর দগ্ধ দেহ। তরুণী ছিলেন একজন পশুচিকিৎসক। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দু’জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে খুন করে। তরুণীর স্কুটির টায়ার ফেটে যাওয়ায় রাস্তার পাশের দোকানে ওই দু’জনের সাহায্য চেয়েছিলেন। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই ট্রাকচালককে আটক করেছেন। এখন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর সাইবারাবাদ পুলিশের অনুমান, ২২ বছর বয়সী পশুচিকিত্সককে গত কাল খুন করা হয়, হায়দরাবাদের অনতিদূরে একটি মফস্বল এলাকা শামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে। আর তার পরে তরুণীর দেহটি ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাড়ি থেকে বুধবার কোল্লুরু গ্রামে পশু হাসপাতালে গিয়েছিলেন ওই তরুণী পশুচিকিত্সক। সন্ধ্যায় সেখান থেকে ফিরে টোল প্লাজার কাছে স্কুটি দাঁড় করিয়ে ক্যাব নিয়ে গোচিবাওলিতে এক চর্মচিকিত্সকের সাথে দেখা করতে যান তরুণী। রাত ন’টায় টোল প্লাজায় ফিরে দেখেন তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে গিয়েছে। তখন দুই ট্রাকচালক কে সাহায্যের জন্য বলে এবং তারা তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেয় আর তার পরেই তার উপর চালায় শারীরিক অত্যাচার। তরুণী যে টোল প্লাজার কাছে নিজের স্কুটি দাঁড় করিয়েছিলেন, সেখান থেকে পুলিশ উদ্ধার করেন, মৃতের জুতো, জামাকাপড় ও একটি মদের বোতল।
টোল প্লাজার কাছে একটি টায়ার সারানোর দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশকে জানান, গত কাল সকাল সাড়ে ন’টা বা দশটা নাগাদ ওই তরুণী তাঁর অচল স্কুটি নিয়ে আসেন দোকানে। পৌনে দশটা নাগাদ তরুণী তার বোনের সাথে কথা বলছিলেন, তেমনটাই শুনতে পেয়েছিলেন টায়ারের দোকানের মালিক। তিনি এও শুনেছিলেন, তরুণী তাঁর বোনকে বলছেন, তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে গিয়েছে। সেটা সারানোর জন্য স্কুটিকে একটু দূরে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাঁর আশপাশে দুই ট্রাকচালক ঘুরঘুর করছে বলে তরুণী মনে আশঙ্কার জাগছে সে কথাও ফোনে বোনকে জানিয়েছিলেন, এমনটাই জানান টায়ারের দোকানের মালিক।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারেন, তরুণীর বোন তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন স্কুটি ছেড়ে টোল প্লাজার কাছে গিয়ে একটি ক্যাব ভাড়া করে বাড়ি ফিরে আসতে। পরে যখন তরুণীর বোন তাঁকে আবার ফোন করেন, তখন তাঁর মোবাইলটি বন্ধ পেয়েছিল। তরুণী বাড়ি ফিরছে না দেখে, বেলা ১১টা নাগাদ তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়।
সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার জানিয়েছেন, টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সাথে বাকি তদন্তও চলছে।