রামবাবু ও ধরমবীরের পরিবার বলেন : আমরা রাজনীতি করি না ফুচকা বিক্রি করি !
মৃত দেহ আনতে গিয়ে দুই বললো পরিবার 'এই দাদারা এসেছেন আমাদের সাহায্য করছেন ', আর স্থানীয় মানুষ বললেন : 'দলীয় ফায়দা তোলার জন্য এই মিছিল
বিজেপি মৃত দেহ নিয়ে মিছিল করবে এটা গত কাল ঘোষণা করেছিল ,আজ সকালে রাজ্য সরকার ১৪৪ ধারা ঘোষণা করে , কিন্তু ১৪৪ ধারা না মেনে এই শোক মিছিল। ভাটপাড়ায় দুই মৃতদেহ রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ, নতুন করে উত্তেজনা, ইট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস।

শোক মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাটপাড়া, বিজেপি শোক মিছিল বার করে বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে নিহত দু’জনের দেহ নিয়ে। পৌনে ৫টা নাগাদ মিছিল শুরু হয় । কয়েকশো লোক মিছিলে ছিলেন।হটাৎ মৃতদেহ মাঝ রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। দূরে দাঁড়িয়ে ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।

কাছারি রোডের দিকে মিছিল এগোতেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা পুলিশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে তারা। মাইকে ঘোষণা করে পুলিশ ১৪৪ ধারা আছে বলে সতর্ক করে , সে কথা কেউ শোনার জন্য নেই । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।
সাধারণ মানুষ রাস্তার দুই দিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন , যে ধরণের ঘটনা ঘটলো তাতে সাধারণ মানুষ সব মেনে নিচ্ছে না দেখে অর্জুন সিং ময়দানে আসেন এই তান্ডপ থামাতে , তিনি বুঝতে পারেন তার লোক জন যেটা করছে সেটা সাধারণ মানুষ মেনে নিচ্ছে না। রাজনৈতিক সমর্থন বাইরে চলে যাবে বলে তিনি সংঘর্ষ থামাতে আসেন ,

অর্জুন সিংহ ঘটনাস্থলে যান , তাকে দেখে আরো উৎসাহিত বোধ করে বিজেপির সমর্থকরা । বিজেপি কর্মীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে তখন অর্জুন সিং বারণ করেন । দেড়ঘণ্টা এই তান্ডব চলার পর শোক মিছিল ধীরে ধীরে কাছারি রোড থেকে ভাটপাড়া হয়ে শ্মশানের দিকে এগিয়ে যায়।
ভাট পাড়ার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ এই ঘটনায় , পুলিশ অসম্ভব সংযত ও দায়ত্বশীল ছিল , নাতো আজ আরো বড় ঘটনা ঘটে যেত।