লকডাউনে খাদ্যশস্য অনুদান দিচ্ছেন সরকার।
এই বিপদে যাদের খাবার সংগ্রহ করার সামর্থ নেই, তাদের জন্যই এই অনুদান।
পল্লবী : দেশের এমন সংকটের দিনে নিজেদের সবটুকু দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করছে ভারত সরকার।আগামি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২১ দিনের জন্যে সম্পূর্ণ ভারত ‘লক ডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে।এই লক ডাউন যে কোন মূল্যে মানতেই হবে। নয়তো ঠেকানো যাবে না এই মারণ করোনা।ঠিক এমন টাই গতকাল বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু এই ২১ দিন যেসব মানুষ দিন আনে দিন খায় কি করবেন তারা ? হয়তো তাদের বাড়িতেও আছে অনেক শিশু কিভাবে তাদের মুখে অন্ন তুলে দেবেন বাড়ির বড়োরা? কিভাবে চলবে তাদের ? এই শিব প্রশ্নই আজ কড়া নাড়ছে মানুষের মনে। উপার্জন ছাড়া মানুষ খাবে কী? কিছু জরুরি পরিষেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে ছাড় দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাতে খাবারের জোগান ধরা প্রভৃতি সমস্যা মিটবে বলে মনে হয়না।
সরকার পক্ষ থেকে বারংবার ঘোষণা করা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয়-জরুরি সামগ্রীর দোকান খোলা রাখা হবে। কিন্তু লক ডাউনের পূর্বে বাজারগুলোতে জনগণের সবজি-সামগ্রী কেনার হিড়িক পড়ে যেতে দেখা যায়। সেখানে ছিল না কোনপ্রকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। মাস্ক ছিলোনা কারোর মুখে। মৃত্যু সামনে, অথচ জনগণ যদি এখনো সজাগ না হয়ে থাকেন,তাহলে যে সব চেষ্টাই বৃথা হবে।
এদিকে, সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ফুড কর্পোরেশন থেকে ৩ মাসের জন্য খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারে রাজ্য সরকারগুলো।এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৪৩৫ লক্ষ টন উদবৃত্ত খাদ্যশস্য রয়েছে। আর প্রায় ২৭২ লক্ষ টনের মতো চাল। ১৬৩ লক্ষ টনের মতো গম। এইবিপদের সময়য় যাঁদের খাবার সংগ্রহ করার সামর্থ্য নেই, তাঁদের হাতেই খাবার তুলে দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এই ২১ দিনের লকডাউনে এরকম অনেক মানুষ সমস্যায় পড়বেন যাঁদের প্রতিদিনের উপার্জনে সংসার চলে। তাদের জন্য সরকার সবসময় রয়েছেন।
এই সময় অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কঠোর ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, লক ডাউন ভাংলে ৬ মাস থেকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে আইন অনুযায়ী।