লিঙ্গ বৈষম্যে বার্তা দিতে, পুনের কলেজে শাড়ি পরে উপস্থিত হয় ৩ ছাত্র।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ৩ ছাত্র পাচ্ছে অসংখ্য প্রশংসা, গর্বিত শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাই।
@ দেবশ্রী : লিঙ্গ বৈষম্যকে ঘিরে চারিদিকে নানান বার্তা শোনা যায়। কেউ এর স্বপক্ষে বার্তা জানায় আর কেউ বিপক্ষে। তবে পুণের ফার্গুসন কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানের দিন দেখা যায় একটি ভিন্ন রূপ। অধিকাংশ ছাত্রী শাড়ি বা সালোয়ার-কুর্তা পরে এসেছিলেন। আর ছাত্ররাও ফর্ম্যাল পোশাকে উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্যে। তবে শনিবারের এই অনুষ্ঠানে, আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন তৃতীয় বর্ষের তিন ছাত্র। আকাশ, সুমিত, রুশিকেশ এই তিনজনেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শাড়ি পরে। জানা যায়, লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে বিশেষ বার্তা তুলে ধরতেই তাঁদের এই পোশাক পরা। আর সাথে সাথে সেই তিনজনের ছবি ছড়িয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
শাড়ি পরে আসা ওই তিন ছাত্ররা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ”কোথাও লেখা নেই ছেলেরা ছেলেদের পোশাকে আর মেয়েরা মেয়েদের পোশাকে আসবে। তাই মাথায় আসে, আমরা যদি সচেতনার বার্তা দিতে একটু অন্য রকম পোশাকে পরি। সে জন্যই শাড়ি পরে এসেছি আমরা।” শাড়ি পরে আসা তিন ছাত্রের এক জন আকাশ পওয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ”শাড়ি জোগাড় করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের। শাড়ি পরার জন্য আমরা আমাদের বন্ধু শ্রদ্ধার সাহায্য নিয়েছি। তবে শাড়ি পরার পর বুঝতে পারলাম, এটা কতটা ঝামেলার জিনিস।”
অনুষ্টানে শাড়ি পরে এসে ওই তিন ছাত্র লিঙ্গ-সমতার বার্তা দিয়েছেন। তাঁদের এই প্রয়াসকে শুধু পড়ুয়ারা নয়, শিক্ষকরাও সমর্থন করেছেন। শাড়ি পরতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাওয়া নিয়ে ওই তিন ছাত্রের সরস মন্তব্য, ”এ বার বুঝতে পারছি, সাজতে গিয়ে কেন মেয়েদের এত সময় লাগে।” এই ঘটনার পর থেকে তাঁরা তিনজনেই সবার কাছে প্রশংসার মুখপাত্র।