লেনিন সরণিতে বিধ্বংসী আগুন: দিশেহারা দমকলমন্ত্রী
দমকল দফতরের দক্ষতা নিয়ে জনতার মধ্যে ক্ষোভ , কেন দেরিতে এলো দমকল , সাধারণ মানুষ উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে।
কেন লাগছে বার বার আগুন শহরে ? বন্ধ ধর্মতলা থেকে হিন্দ সিনেমা পর্যন্ত লেনিন সরণীর অংশ।ফের বিধ্বংসী আগুন শহরে। আজ বিকেলে লেনিন সরণির বহুতলের উপরের তলায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। স্থানীয় লোকজন প্রথমে দেখতে পান ,ওই বহুতলের ছাদে অস্থায়ী কাঠামো করে চলত গেঞ্জি কারখানা।

আজ বিকালে হঠাত্ই বহুতলের ছাদে আগুন ও ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন দমকলকে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পঁচিশ মিনিট দেরিতে দমকল। দেরী হওয়াতে বেশ কিছুটা ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দমকল এসে পজিশননিতে আরো ১০ মিনিটের ওপর দেরি করে তার ফলে পুরো আগুন নিচে নামতে শুরু করে , বিপদ এখনো কাটে নি।
এক্ষত্রে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এই অঞ্চল এত জনবসতি পূর্ণ যে জলের পাইপ ফেলা ও ওপরে ওঠার জায়গা খুব কোম , তাই দমকলকর্মীদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।তবে বাঁচোয়া পাশেই ছিল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং সেখান থেকে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
বিল্ডিংয়ের নিচের তলাগুলিতে এখনও কিছু বাসিন্দা আটকে পড়েছেন বলে দমকল সূত্রে খবর। যারা আটকে আছেন তাদের পাশের বাড়ীর বিল্ডিং-এর সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।
প্রতিবেশিদের অভিযোগ, বেআইনীভাবে অস্থায়ী ছাউনি করে সেখানে চলত গেঞ্জির কারখানা। তাই গেঞ্জি কারখানার দাহ্য বস্তুর কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে অনুমান দমকলকর্মীদের।
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন ‘ ৬তা ইঞ্জিন কাজ করছে দরকারে আরো নামবে ‘ . এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের DMG কাজ করছে।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন : ১) শেষের ১০ বছরে কলকাতায় বহু আগুন লেগেছে , কত কমিটি হল কি কাজ করছে তারা ?
২) বহুতলে গেঞ্জিকারখানা কিভাবে হল ?
৩) কিছুদিন আগে পার্ক স্ট্রিটে আগুন ,বড় বাজার , পোর্টট্রাস্ট গোডাউনে , ঢাকুরিয়াতে আগুন , গড়িয়া হাতে আগুন ,শিয়ালদহে আগুন সমগ্র কলকাতা জুড়ে এতো আগুন লাগার পর একটি কমিটি করা হয়েছিল শোভন চ্যাটার্জী যখন মন্ত্রী ও মেয়র ছিলেন। সেই কমিটিতে বিহু নামকরা লোকজন ও পদাধিকারী নিয়ে ঘটিত হয়েছিল যে সমগ্র শহরের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার দেখভাল করবেন। কি করলেন তারা ? জনতার প্রশ্নের সামনে রাজ্য প্রশাসন।