শীতের প্রভাবে, বিপর্যস্ত দিল্লির নাগরিকদের জনজীবন।
ক্রমশ বাড়ছে শীতের পরিমান, চলতে থাকবে শৈত্যপ্রবাহ।
@ দেবশ্রী : বছরের শেষে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। রাজধানী দিল্লী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ঢেকে গেছে ঘন কুয়াশায়। চোখের সামনে কেবল ধোঁয়া। ঠান্ডার প্রকোপ আর কুয়াশার কারনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিল্লির জনজীবন। গোটা রাজধানীতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। জানানো হয়েছে, আপাতত জারি থাকবে, শৈত্যপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে, গাড়ির চালকরা আপত্কালীন আলো জ্বালিয়েই যাতায়াত করছে। সামনের ৫০ মিটারের পর দৃশ্যমানতা প্রায় নেই।জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরভারতের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়েছে। সফদরজঙ্গে তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি ও পালামে ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর ফলে রেল এবং বিমান পরিষেবা প্রায় বিপর্যস্ত। তবে কোনও বিমান বাতিল হয়নি। অন্য পথে বিমানগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩০ টি ট্রেন নির্ধারিত সময় থেকে পিছিয়ে চলছে। এই বছর ডিসেম্বরের ঠান্ডায় সর্বোচ্চ অধিক তাপমাত্রা ছিল ১৯.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে ১৯৯৭ সালে ছিল ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই যদি পরিসংখ্যান হয় তবে ১৯০১ সাল থেকে এবছরের ডিসেম্বরকেই দ্বিতীয় শীতলতম মাস বলে গণ্য করা হয়। গত কয়েকবছরে ডিসেম্বরে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁয়েছে।
একেই এমন শীতল আবহাওয়া তার উপরে রয়েছে দূষণের প্রভাব, একসাথে দাঁড়িয়েছে সমস্যা। দিল্লির আনন্দ বিহার এবং ওখলাতে দূষণ ভয়ঙ্কর মাত্রায় রয়েছে। দিল্লির বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলি যাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, বিমান বাতিল বা দেরিতে ছাড়ছে কিনা তা দেখার জন্য মোবাইল ফোন দেখে বিমানের স্টেটাস কী রয়েছে একবার দেখে নিয়ে তারপরেই এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে।