Environment

শীতের সকালে মহাকাশে চোখ : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রাজ্যবাসী

কলকাতার মানুষ অনেকাংশেই বঞ্চিত রইলো তবে ২ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড ঐতিহাসিক মুহূর্ত শীতের সকালে অন্য মাত্রা যোগ করলো কলকাতা বাসীর।

নিজস্ব সংবাদদাতা : পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে বহুকাল।একাধিক ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত ‘বিশ্বাস’ শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রহণ ঘিরে রয়েছে । যতই প্রযুক্তির ঘনঘটায় প্রকৃতির উপর দখল দাড়ির চেষ্টায় নাসা থেকে ভাবা , সেটা কিন্তু সম্ভব হয়নি জাগতিক বিচার বাইরে কিচ্ছু ঘটানো। এমন কিছু ঘটানো যায়নি যা প্রযুক্তির ফলে নিতুন ভাবে সূর্য্য গ্রহণ বা চন্দ্র গ্রহণ। ফলে প্রযুক্তি অজানাকে জানার ব্যবস্থাই করেছে।তবে মহা জাগতিক অবস্থান কে মানুষের মঙ্গলের কাজে লাগবে বা এই অবস্থান কে কেন্দ্র করে প্রথিবীর শক্তি শালী দেশ গুলো নিজেদের ক্ষমতার জাগান ও জানান দেয় বারং বার। আগামী দিনের সমগ্র বিশ্ব মহাজাগতিক অবস্থানের অধিকার পাবার জন্য লড়াই শুরু হয়েগেছে বহু বছর আগেই। তার ফলে পৃথী দখলের অবস্থান নতুন করে সম্ভব নয় থখন এই মহাকাশে আধ্যিপত্য বিস্তারের দখন দারিরই যুদ্ধে সবাই অবতীর্ণ।

আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরানিক কাহিনি।প্রসঙ্গত, চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোন দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অন্যদিকে, যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ অবস্থান নেয়, তখন পৃথিবীপৃষ্ঠের পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে সূর্য চাঁদের পেছনে আড়ালে চলে যায় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে। আবার পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে তখন পৃথিবীর আড়ালে চাঁদ ঢাকা পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়।

সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে বহুকাল থেকেই অনেক পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রহণ ঘিরে রয়েছে একাধিক ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত ‘বিশ্বাস’। আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরানিক কাহিনি। দেখে নেওয়া যাক, সেই সব কাহিনিকে। কোরিয়ানরা মনে করেন যে সূর্যকে চুরি করে নিয়েছে কোনও রাক্ষুসে কুকুর। কোরিয়ান লোক সঙ্গীতে এই নিয়ে বহু সুরও বাঁধা হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার বেনিন ও টোগে উপজাতির মানুষরা বিশ্বাস করেন যে ‘গ্রহণ’ মানে সূর্য ও চন্দ্রের মধ্যে ক্রমাগত যুদ্ধ। তাঁদের আরও ধারণা যে একমাত্র পৃথিবীই এই যুদ্ধ মেটাতে সক্ষম। প্রাচীন গ্রিসের পৌরনিক কাহিনিতে মনে করা হত সূর্যগ্রহণের ঘটনা মানেই কোনও না কোনও দেবদেবী রুষ্ট হয়েছেন। যার ফলে কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা করা হত। মূলত এই মহাজগতিক ঘটনাকে নেতিবাচক চোখে দেখা হত এখানে।

১) ২০১৯ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণের মধ্যে ফারাক রয়েছে অনেক দিনের।
২) বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণটি হতে চলেছে ২ জুলাই । সেদিন রাত ১১টা৩১ মিনিট ০৮ সেকেন্ড থেকে গ্রহণ লাগবে। এরপর চা চলবে ৩ রা জুলাই রাত ২ টা ১৪ মিনিটের কাছাকাছি।
৩) তৃতীয় সূর্যগ্রহণ বছরের তৃতীয় সূর্যগ্রহণটি সংগঠিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। সেদিন সকাল ৮টা ১৭ মিনিট ০২ সেকেন্ড থেকে শুরু হবে গ্রহণ। তা চলবে বেলা ১০টা৫৭ মিনিট ০৯ সেকেন্ড পর্যন্ত।
৪) ২০১৯ সালের চন্দ্রগ্রহণ ২০১৯ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ সংগঠিত হবে ২১ জানুয়ারি । সেদিন সকাল ৮টা ০৭মিনিট ৩৪ সেকেন্ড থেকে শুরু হবে গ্রহণ। তা তলবে বেলা ১টা ০৭ মিনিট ০৩ সেকেন্জ পর্যন্ত।
৫) জুলাই মাসের চন্দ্রগ্রহণ জুলাই মাসে ১৬ তারিখ হতে চলেছে বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি। সেদিন রাত ১টায় শুরু হবে এই গ্রহণ চলবে পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই রাত ৩টে নাগাদ পর্যন্ত।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: