শোভন বৈশাখী সব্যসাচীর ছায়া রইলো বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থানে : বঙ্গ জাগরণ
অনেক হয়েছে এই গোছের মনোভাব বাংলা জুড়ে , "না সম্মতি রামে না সম্মতি জয় বাংলায় "। অতিষ্ঠ-রক্তাত্ত বাংলায় ঘৃণা বর্ষিত হল সমালোচনার মাধ্যমে। শনিবাবের বিকেল বেলায় সভা অনুষ্ঠিত হল মুকুল ঘনিষ্ঠ পেশা হিসেবে নিরীক্ষক অমিতাভ মজুমদারের নেতৃত্বে ! এ এক নতুন রাজনৈতিক ইঙ্গিত।

কথা ছিল শোভন-বৈশাখী-সব্যসাচী আসবে এই সভায় , এলেন না কেও। শোভন বৈশাখী দিল্লি থেকে ফিরবে রাতে। সব্যসাচী বিধান নগরে বিক্ষোভ করে তৃণমূল নেত্রীর কোপে পড়েছেন তাই এলেন না। তবে এলেন যারা তারাও কেউ কম নন , সব মিলিয়ে অন্য রাজনৈতিক ইঙ্গিত।
এই দিন অবসর প্রাপ্ত বিচারপ্রতি সৌমিত সেনের সভাপতিত্বে শুরু হল “বঙ্গ জাগরণ “, কি ভাবে করবে কাজ তার প্রাথমিক খসড়া তৈরি হল গত কাল। সভায় ছিলেন প্রাত্তন আই জি পঙ্কজ দত্ত , খুন হয়ে যাওয়া প্রাত্তন তৃণমূল নেতা তপন দত্তের স্ত্রী প্রাপ্তিমা দত্ত ,প্রাত্তন আইএস বলাই চ্যাটার্জি , বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুনাভ মজুমদার , অধ্যাপক জ্যোতিন্মায় গোস্বামী , সুমন্ত্র গুহ ICI এর প্রাত্তন কেদ্রীয় সদস্য ,কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার সদস্য সোনালী কাজী সহ একাধিক গুণীজন উপস্থিত ছিলেন , এসেছিলেন ৯ টি জেলার বড় সংঘঠক। আলোচনার মধ্যে বারেবারে উঠে এসেছে সম্প্রতি রাজনৈতিক অবস্থান ও মানবাধিকার।
বঙ্গ জাগরণ কি কিরবে ?
১) বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পাল্টা সমন্নয় করে মানুষের সাথে জোট
২) রাজনৈতিক ভাষা সন্ত্রাসের বিপক্ষে জনমত তৈরি করা
৩) বিকল্প উন্নয়নের প্রস্তাব রাজ্য ও কেন্দ্র সামনে রেখে প্রকৃত উন্নয়ন করা
৪) রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক শিক্ষা শিবির চালানো
৫) ২৩ টি জেলাতে রাজনৈতিক সচেতন মানুষের সাথে সমন্নয় করা
৬) নজর রাখা বাজারি রাজনীতির নীতি হীন অবস্থান কে মানুষের সামনে নিন্দা করা ও বিকল্প ভাবনা তুলে ধরা
৭) সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সমন্নয় রেখে বিকল্প প্রস্তাব দেয়া হবে
৮) আক্রান্ত মানুষের পাশে প্রচার মুখী অবস্থান ছেড়ে প্রকৃত সাহায্য করা
৯) বাংলার শিল্প সাংস্কৃতিক ভাব ধারা তুলেধরা ও হারিয়ে যাওয়া সৃষ্টি কৃষ্টি কে রক্ষনা বেক্ষন করা
১০) মানবাধিকার রাখার প্রশ্নে থাকতে পারে বিশেষ ভূমিকা।
এই অবস্থায় বাস্তবে অনেকেই পা বাড়িয়ে রয়েছে কিন্তু মুকুল রায় দিকে কিন্তু ভরসা দিতে পারছেন না কারণ তার অবস্থান নিয়ে দলে অনেক বিতর্ক। অতয়েব না পসন্দ তৃণমূল কে, না ছেড়ে কিছুটা জিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। না নেই কিন্তু আছি এই গোছের একটা পথে অনেকেই হাটছে সম্প্রতি। কিন্তু প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা ক্ষোভ তৃণমূলে , তার ওপর কাটমানির চাপ সঙ্গে আগামীর হতাশা। ফলে সম্ভবনার পথ খুঁজতে মুক্ত মঞ্চের পথে অনেকে।
এর ফলে তৃণমূলে থাকবো না বিজেপিতে যাব না , এই অবস্থানে রাজ্য রাজনীতিতে সঠিক অবস্থান নিৰ্ণয় কারী শক্তির উত্থান হতেই পারে। শোনা যাচ্ছে সব্যসাচী দত্ত কোপে পড়েছেন দিদি মনির , শোভন আর যেতে চান না তৃণমূলে এই অবস্থায় এদের অনুগামীরা অনেকেই খুঁজছেন নিরাপত্তার সাথে নতুন অবস্থান ।
গত কালকের হাতে গোনা কয়েক জনকে বাদ দিলে সবাই এসেছেন তৃণমূলের সাথে এক সময়ের সহযোগী। ফলে চেনা অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে তৃণমূলের বিপক্ষে, কিছুটা বিজেপি থেকে দূরে আপাতত। রাজনৈতিক ঘোলা অবস্থানে ” বঙ্গ জাগরণ ” নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল। খোঁজ রাখছে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রীট, নজর রাখছে সিপিআইএম ও বিজেপি।