শ্লীলতাহানির অভিযোগ , ঊষসী সেনগুপ্তের ঘটনায় জামিন পেল সবাই : পুলিশ কেন নীরব ?
পুলিস কড়া ধারা যোগ করার পরেও জামিন পেয়ে গেল অভিযুক্তরা , তবে ওই পুলিশ অফিসাররা কেন শাস্তি পেল ? জামিনে মুক্তি দিলেন আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শেখ রোহিত, ফরদিন খান, শেখ সাবির আলি, শেখ গনি, ইমরান আলি, শেখ ওয়াসিম ও শেখ আতিফকে। গত কাল তাদের জামিন নাকচ করে আদালত। দুদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে গেল সব অভিযুক্তরাই।ওদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, শ্লীলতাহানির ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ঘরে সরকারি আইনজীবী সওয়াল করেন, অভিযুক্তরা নিজেদের বয়ান বদল করেছে। তাদের জেরা করে বাকিদের চলছে খোঁজ। জামিন পেলে তদন্তের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হবে কিন্তু তাদের অবশেষে জামিন পেয়ে যায়।

এদিন কোর্টে প্রায় নিশ্চিন্ত হয়ে বসে ছিল অভিযুক্তরা , তারা তাদের বয়ান বদল করেন। পুলিশ তাদের কি এমন রিপোর্ট দিলো , যে আদালতে যাতে এই হাই প্রোফাইল ঘটনার জামিন দেবে এতো তারাতাড়ি । না এর পিছনে কোন বড় মাপের কেউ আছে যে তার অঙ্গুলি হেলনে এই আজকের পুলিশ নিষ্ক্রিয়।
রাতের কলকাতায় বিভীষিকা ফেসবুকে পোস্ট করেন ঊষসী। তারপরই শুরু হয় তোলপাড়। যাবতীয় অভিযোগের তদন্তে বুধবারই কমিটি গড়ে কলকাতা পুলিস। যার নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক। সেই কমিটি নির্দেশেই সাসপেন্ড করা হয়েছে চারু মার্কেট থানার ডিউটি অফিসার পীযূষ পালকে। একই সঙ্গে শো কজ করা হয়েছে ময়দান থানার অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মেনন মজুমদারকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহ ও সম্ভ্রমহানির মামলাও দায়ের করা হয়। এখানে একটি ভিডিও প্রমান থাকা সত্ত্বেও এই জামিনে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।