সন্দেহের বসে মাস্টারমশায় মারখেলেন তৃণমূলের কাছে , তাকেই আবার পুলিশ গ্রেফতার করলো !
অশোকনগরে আক্রান্ত শিক্ষককেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ,অশোক নগর বিজেপি মন্ডলের সভাপতি শ্যামল সরকার কে মারধোর ঘটনায় প্রতিবাদে পথ অবরোধ।বিরোধীরা বলছে এতো প্রশাসন চলছে না এটা চলছে শাইরাসন চলছে।
অশোকনগরঃ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ছড়ানো হয়েছিল লিফলেট। সন্দেহের তির ছিল শিক্ষক শ্যামল মল্লিকের দিকে। নেহাতই সন্দেহের বশে অশোকনগরে সেই শিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। উদ্ধারের নামে থানায় নিয়ে গিয়ে আক্রান্ত শিক্ষককেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ। প্রতিবাদে অশোকনগর বিল্ডিং মোড়ে যশোর রোড অবরোধ শুরু করেছে বিজেপি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার অশোকনগরের বিভিন্ন জায়গায় কিছু লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাতে পুরপ্রধান প্রবোধ সরকারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তৃণমূলের দাবি, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, অশোকনগর নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের সামনে ওই লিফলেট ছড়িয়েছেন শিক্ষক শ্যামল মল্লিক। তিনি গোবরডাঙা খাঁটুরা হাই স্কুলে পড়ান। অশোকনগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তাটকল এলাকায় থাকেন। তৃণমূলের অভিযোগ, শ্যামলবাবু আরএসএস করেন। তিনি চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার ও কাউন্সিলর অনুপ রায়কে কালিমালিপ্ত করছেন। প্রবোধবাবু বিষয়টি নিয়ে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার সন্ধেবেলা কয়েকশো তৃণমূল কর্মী শ্যামলবাবুর বাড়িতে আক্রমণ করেন। অবাধে ভাঙচুর করা হয়। ঘরের দরজায় তালাবন্ধ থাকায় প্রাণে বাঁচে শিক্ষকের পরিবার। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। হামলাকারীদের না ধরে পুলিশ আক্রান্ত শিক্ষককেই গ্রেপ্তার করে।
তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে বিজেপি কর্মীরা অশোকনগর বিল্ডিং মোড়ে অবরোধ শুরু করেছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, শিক্ষক শ্যামল মণ্ডলকে মুক্তি দিতে হবে।আর শ্যামল সরকারের মারধোর জারা করেছেন তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এক ঘন্টা ধরে চলে এই অবরোধ ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। তারপরে বিজিবি সমর্থকদের সাথে অশোকনগর থানার ওসি অয়ন চক্রবর্তী এত কথা বলে। তাদের দাবি ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা সদস্য অনুপ রায় কে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ । যদি পুলিশ দোষী কে এরেস্ট না করে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিজেপি সমর্থক রা ।