সবার চোখে ধুলো দিয়ে দিনে-দুপুরে ঘটে গেল গণধর্ষণ ! উত্তর নেই কারোর কাছে।
প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ শিকার হচ্ছে হিংসার, তাও নাকি পুলিশ প্রশাসন বুঝতে পারছে না, কিভাবে ঘটছে...
@ দেবশ্রী : আবারো শহরে ঘটল গনধর্ষনের ঘটনা। দিনের বেলাতেই, কালীঘাট চত্বর থেকে, দুই নাবালিকা ভিখারিকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, এক নাবালক-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। পুলিশি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো থেকে তিনটের মধ্যে কালীঘাট মন্দিরের সামনে থেকে দুই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তাদেরকে কালীঘাট সংলগ্ন আদিগঙ্গার ধারে এক আশ্রমে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
গণধর্ষণের পর অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে দুই নাবালিকা মন্দির চত্বরে ফিরে আসে। তারা ফায়ার আসার পর, অনেকেরই সন্দেহ হয়। তাদের সামনে সবকিছু খুলে বলে দু’জন নাবালিকা। তারপরেই তাদেরকে নিয়ে গিয়ে কালীঘাট থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গৌর যাদব ওরফে কাজল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক নাবালককেও ধরেছে কালীঘাট থানার পুলিশ। তৃতীয় অভিযুক্তের এখনও চলছে খোঁজ।
পুলিশ এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নাবালিকা দু’জনের মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তিনজন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু দিনে-দুপুরে কী ভাবে দুই নাবালিকাকে তারা তুলে নিয়ে গেল তা ক্রমশ ভাবিয়ে যাচ্ছে পুলিশকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গৌর ওরফে কাজল সেখানকারই বাসিন্দা। তাই মন্দির চত্বরের প্রায় সবাই তাকে চিনত। ওই দুই নাবালিকাও চিনত। তাই হয়তো ভুলিয়ে সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া সহজ হয়েছিল অভিযুক্তদের পক্ষে।
কিন্তু প্রশ্ন কত দিন ধরে চলবে এই অপরাধমূলক কাজ ? কেন এই কাজ বন্ধ করার জন্য নেওয়া হচ্ছে না কোনো কঠিন পদক্ষেপ ?