সব্জি বিক্রেতা বাবা ১০ গোল দিলো কর্পোরেট বাবাদের কে !
দারিদ্রতা পরাস্ত হল কৃতি ছাত্রীর ইচ্ছার কাছে
রাজ্যে চমকে দেবার মত রেজাল্ট করেছে মেয়ে- শুনে চোখের জল রাখতে পারলো না বাবা , বাজারের সকলে খুবই আনুন্দ করছে বলছে শুধু মোটা টাকা উপার্জনে কর্পোরেট বাবারা যেমন পারে , তেমন সবজি বিক্রেতা বাবারাও পারে , সাবাস বর্ণালী বলছে বাবার বন্ধু রা ( অন্য সবজি বিক্রেতারা )।
ঝা চকচকে স্কুল নয় , দামি ব্র্যান্ডের পোশাক নয় , ভালো খাবার নেই , সব বিষয়ের শিক্ষক নেই , পার্টি নেই , গাড়ি করে ঘুরতে যাওয়া নেই , নামি হোটেলের খাওয়া নেই , জন্মদিনের পার্টি নেই , কম্পিউটার বা ট্যাব নেই – এই নেই রাজ্যের মধ্যে আছে অসম্ভব জেদ , একাগ্রতা ও ১০০ ভাল লড়াইয়ের ইচ্ছা ,
বাবা সব্জি বিক্রেতা। মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। চরম দারিদ্রতার কশাঘাত সামলে ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৪ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল বিদ্যালয়ের ছাত্রী বর্ণালী ঘোষ।স্কুলের সহযোগিতা আর মা বাবার ঐকান্তিক ইচ্ছা বর্ণালীকে পৌঁছে দিলো শীর্ষে। এতো কৃতি যে মেয়ে সেইতো আসল কন্যা শ্রী। সত্যি কি পাবে আগামীর সাহায্য না সবই ভোটের প্রচার। ওপিনিয়ন টাইমস নজরে রাখবে এই ব্যতিক্রমী কে , রইলো একরাশ অভিনন্দন।