সরকার ও দলের সব সিদ্ধান্তই কি নেবেন প্রশান্ত কিশোর : গুঞ্জন নবান্নে
নবান্নের ম্যানেজারদের মুখ ভার , এর ঘরে তার ঘরে চলছে ঘুষ ঘুসে বৈঠক। দূরত্ব তৈরি হচ্ছে অনেকের , ৯ বছরের সাথীদের অনেকের কদর কমেছে।প্রশান্থ কিশোর ও মমতা প্রতিদিনে অনেক মিটিং করছেন। তাতে ডাক পাচ্ছেন না অনেকেই

নবান্নে ও তৃণমূল ভবনে একই আলোচনা , দ্বিতীয় বারের জন্য সংঘঠনে ধাক্কা খাচ্ছে তৃণমূলের ম্যানেজার কুল। অনেকেই ঘরের ভিতরে ঢোকার জন্য ব্যাকুল হয়ে বার বার উৎসাহ প্রকাশ করলেও দিদির ডাক পাচ্ছে না , তার ওপর সব নিয়ে দিদি যে ভাবে খেপে রয়েছে তাতে ভয় টা অনেক বড় কথা।
২০১১ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে বার কয়েক চিন্তায় এসেছে প্রশান্ত কিশোরের নাম কিন্তু নাগালের মধ্যে পায় নি তার ফলে গড়ে ওঠেনি কোন সম্পর্ক। সূত্রের খবর বিজেপি কংগ্রেস ছাড়া এর তেমন বড় রাজ্য কে প্রশান্ত কিশোর খদ্দের হিসেবে পাইনি। তার ফলে বাজারে মান নামছে PK এর। তাই হাতের কাছে অফার আর ছাড়তে চান নি। ২০২০-২০২১ মমতা কে তরী পার করাবার জন্য নেমে পড়লেন কাজে।
প্রশান্থ কিশোরে যে ভাবে কাজ করেন সেটা হল রাজ্য ও দল দুটোর পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেন। ( বিগত দিনের কাজের ধারা থেকে অনুমান )
কি কি হতে পারে ?
১) প্রাথমিক ভাবে সার্ভে করে , অর্থাৎ রুগীর রোগ ধরার চেষ্টা
২) সরকারি সব রিপোর্ট দেখা , আর তার থেকে অনুমান করা কি কি ধরণের থ্রেট আছে সরকারের ও দলের ওপর
৩) সরকার আর দলের যে যে সিদ্ধান্ত গুলো নিয়েছে তার বদল হতে পারে PK পরিকল্পনা অনুযায়
৪) নতুন কিছু সরকারি পরিকল্পনা নিতে পারে আগামী ২ বছরে।
৫) সরকারের সকল প্রচারে আস্তে পারে ভাবনা ও প্রয়োগের পরিবর্তন
৬) সরকারের যারা বিগত দিনে পরিকল্পনার মধ্যে ছিলেন তারা পড়তে পারেন বাদ
৭) কাজ হারাতে পারেন সরকারের বিভিন্ন দফতরের বিশেষজ্ঞরা
৮) বেশ কিছু অ্যাড এজেন্সির তাদের কাজের ধারার পরিবর্তন আস্তে পারে ,
৯) সরকারের বিভিন্ন্য প্রকল্পের পরিবর্তন হতে পারে
১০) সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজের বরাদ্দ কাটছাট হতে পারে
১১) মন্ত্রীদের আচরণ বিধির পরিবর্তন হতে পারে
১২) বিধায়কদের কাজের ফিরিস্তি তৈরি হতে পারে নতুন করে
১৩) রাষ্ টানতে পারে সরকারি বিভিন্ন্য অনুষ্ঠানের
১৪) দান জাতীয় কর্মসূচিতে আসাতে পারে পরিবর্তন
১৫) ধর্মীয় নেতাদের সাথে সরকারের আচরন পরিবর্তন হতে পারে
১৬) সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হতে পারে
১৭) pk এর মত অনুযায়ী বিগত দিনের সরকারি আদেশ পরিবর্তন হতে পারে
১৮) সরকারের বিপক্ষে জমে থাকা ক্ষোভ বিক্ষোভ মেটানোর নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হতে পারে
১৯) বিধান সভার আলোচনার ক্ষেত্রে দলের বোধায়ক থেকে মন্ত্রীদের ভূমিকার পরিবর্তন আস্তে পারে
২০) দল ও ভোটার এবং সরকার ও জনতা সমন্নয় কি ভাবে হবে তার
২১) মমতার নির্দেশের ক্ষেত্রের দুটি দিক এক দল ও দুই প্রশাসন – এ ক্ষত্রে অনেক পরিবর্তন আস্তে পারে
২২) আগামীতে হতে পারে জেলায় জেলায় সরকারি মিটিং তার আগে পদ্ধতিগত ভাবে কি বলবেন মমতা তারও নিদান দিতে পারেন pk
প্রশান্থ কিশোরের সামনে চ্যালেঞ্জও কম নয়
১) ওপর পক্ষে বিজেপি , যারা pk স্কোর পদক্ষেপ গুলো জানা
২) সিপিআইএমের নির্দিষ্ট একটা রাজনৈতিক জমি আছে
৩) মুকুল রায় একদা তৃণমূলের সব দুর্বলতা জানেন
৪) ২০১১ থেকে এমন কোন বছর গেলনা যে বছরে কোন দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি তৃণমূল সরকারের ওপর
৫) মার্ মুখী বিজেপি
৬) কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম অমিত শাহ
৭) ধর্মের বিষয় নিয়ে বেশ চাপে
৮) অর্জুন সিং থেকে মনিরুল চেনা অস্ত্রে মাত করছে তৃণমূল কে
৯) দলের নেতাদের ইমেজ খুব খারাপ
১০) কাটমানি ইস্যুতে কোন ঠাসা মমতা
১১) ২৩ শে মে থেকে মানুষের ভরসা কমেছে
১২) জেলায় জেলায় দলে ভাঙ্গন
১৩) অভিষেকের ইমেজ তলানিতে
১৪) তৃণমূল যুব ও এক শ্রেণীর পুলিশ কোনঠাসা করেছে তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের , তার ফলে দলে আছি পাশে নেই গোছের ভাব
১৪) ইচ্ছা নেই দলে থাকার দায়ে পড়ে আছি এরকম সংখ্যা তাই বেশি
১৫) শোভন থেকে মদন পুরোনো ম্যানেজারের মমতার পশে নেই , অভিমানী তারা
১৬) অভিযোগ সিপিআইএমের ভোট বিজেপিতে গেছে , মোদী অমিত শাহের নজর সামলাবেন কি করে
১৭) বিভিন্ন্য জেলায় নেতাদের ভরসা যোগ্য মুখ নেই
১৮) অভিষেক কে এড়িয়ে সবাই চলছে , ববি,অরূপ , কল্যাণ ,জ্যোতিপ্রিয়, পার্থ , শুভেন্দু ,ডেরেক সহ অনেকে কি ভাবে সামলাবেন
১৯) মমতার ভাইদের রাজনৈতিক উত্থানে জেলায় উপদলের সৃষ্টি হয়েছে
২০) সমাজে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই কাছে আছে পশে নেই
২১) দলের মধ্যে কাটমানি নিয়ে যেভাবে বিতর্ক তাই ২১ সে জুলাই থেকে আগামী ব্রিগেট , জেলার মিটিং থেকে রাজপথের মিছিল তাকে যোগাবে কে ?
২২) সংবাদ মাধ্যম কিছুটা বেসুরো , প্রচারে আঘাত
প্রশান্থ কিশোর তাই তাঁর বিরোধী নেত্রীর মত ভাবমূর্তি আবার ফিরিয়ে এনে দলকে ‘কালিমামুক্ত’ করে মমতা আগামী বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে নামতে চান বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা। তাঁর এ দিনের নির্দেশ তারই প্রতিফলন বলে ওই পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।
এ ক্ষেত্রে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মমতার সঙ্গে ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের একাধিক বৈঠক। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে পশ্চিম মেদিনীপুরের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যে বৈঠকে মমতা পুরনো ভাবমূর্তিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন, সেখানেও ওই ভোট-কুশলী প্রশান্ত উপস্থিত ছিলেন। দলের বৈঠকে প্রশান্তর উপস্থিতি নজর কেড়েছে। নবান্নে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দু’বারের বৈঠকের মতো এ দিন তৃণমূল ভবনেও তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যান সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পরে মমতার গাড়িতে ফেরেন অভিষেক ও প্রশান্ত। অনেকের ধারণা, মমতার এ দিনের নির্দেশের পিছনে প্রশান্তের পরামর্শ থাকতে পারে
গত আট বছর সরকারে থেকে দলে যে ‘প্রশাসনিক মেদ’ জমেছে, এ বার তা ঝরিয়ে ফেলা জরুরি বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে তাঁর নির্দেশ, ‘‘১৯৯৮ সালে দল তৈরির সময় আমাদের সঙ্গে না ছিল পুলিশ, না ছিল প্রশাসন। তখন যে ভাবে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করে আমরা এগিয়েছিলাম, এখনও ঠিক সে ভাবেই পুলিশের উপর ভরসা না করে আমাদের নিজেদেরই নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’’
মমতা চাইছে পুলিশ নির্ভর হয়ে দলের অনেক নেতা গুরুত্ব পাইনি , তাই পিলিসের ওপর ভরসা কমিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের ওপর ভরসা করতে প্রশান্থ এর সাই আছে।
বিরোধী ভাবমূর্তি মমতাকে সবসময় এগিয়ে দিয়েছে। আবার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁর দলে দুর্নীতি-দাদাগিরি-সহ নানা অভিযোগ ক্রমাগত উঠছে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা কেলেঙ্কারির মতো বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে সিবিআই তদন্ত চলছে দলের উপরতলার অনেক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটে তৃণমূল ধাক্কা খাওয়ার পরে দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে দলীয় প্রতিনিধিদের জীবনযাপনের মান বদলে যাওয়া, জনসংযোগ-বিচ্ছিন্ন হওয়া, ঔদ্ধত্য ইত্যাদি লক্ষণ সামনে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নিজে তোলাবাজির টাকা ফেরতের কথা বলায় আগুনে ঘি পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ সবই যে ‘ক্ষমতা’ ভোগের পরিণাম, সেই অভিযোগও উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
এরফলে খুব সুবিধে হবে না ,pk বেশ বেগ পাবেন বলে আশা করেন রাজনৈতিক সমালোচকরা আর সব মিলিয়ে সময়ই উত্তর দেবে।