সরকার কেন নীরব থাকে ধর্ষণ কাণ্ডে , কি এই বাংলা কি হায়দ্রাবাদ : দেশ জুড়ে গণক্ষোভ বাড়ছে
পশ্চিম বাংলা থেকে হায়দ্রাবাদ হয়ে দিল্লি সব ক্ষেত্রেই সরকারি অনীহায় কেন জানি না প্রকট হচ্ছে। যুক্তির কথা কোটি টাকার প্রচারেই আটকে থাকছে। বিচারের ভরসা কমছে তাই আইন হাতে তুলে নেবার আর্তি জানালেন ধর্ষিতার মা।
নগর কীর্তন : হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ড কে নিয়ে দেশ জুড়ে কয়েকদিনের আলোচনা থেকে যাবে নিত্য গতিতে যেমন হয়েছিল কামদুনি থেকে কাকদিছে পার্ক স্ট্রিট আবার যেই কার সেই অবস্থায় ফিরে আসবে । অবহেলার অভিযোগে নিয়ম মাফিক নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন, সাসপেন্ড তিন পুলিসকর্মী হলেন কিন্তু এতো পরে এই ব্যবস্থা নিলো কেন সরকার ঠিক যেন কামদুনির ঘটনা ।ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ জানাতে গিয়ে নির্যাতিতার বাড়ির লোক পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। এরকম দেশে বাস করছি আমরা , আর আমাদেরই ট্যাক্স এর পয়সায় যাদের মেইন হয় তাড়া আমাদের অভিযোগ নিতে দেরি করে আর তদন্ত তো দূরস্থ , বললেন নির্যাতিতার আত্মীয় একটি বেসরকারি টিভি সাক্ষাতে।একই চিত্র ছিল সেই দিনটায় যেদিন টুম্পা কয়ালের প্রশ্নে খেপে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী , প্রথমে মাওবাদী আখ্যা পরে সিপিআইএমের চক্রান্ত বলে খেন্ত হলেন।
দেশ জুড়ে সংবাদ মাধ্যমে যে ভাবে নিন্দার ঝড় উঠেছে তাতে হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সক ধর্ষণকাণ্ডে এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সাইবরা বাদের পুলিস কমিশনার বিসি সজ্জনার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেই নিয়ম মাফিক উদ্যোগ নিলো প্রশাসন। রিপোর্ট নিতে টালবাহানা করার জন্য একজন এসআইসহ তিন পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কিন্তু ডিপার্টমেন্টাল কোন তদন্ত ছাড়া । এর ফলে বোঝার উপায় নেই যে ওই ধর্ষণকারীরা এই পুলিশ আধিকারিকের সাথে কোন সমঝোতা করেছে কিনা। সময়মতো অভিযোগ নিতে চাননি ওই পুলিসকর্মীরা। এমনকী, অভিযোগ দায়ের করার সময় ঘটনা কোন থানার অন্তর্গত, তা নিয়েও টালবাহানা করতে থাকেন তাঁরা। এর ফলে সাধারণত বোঝা যায় যে ওই ধর্ষকদের পিছনে কোন রাজনৈতিক প্রভাব শালী মাথা নিশ্চয় আছে, পেশায় লরি চালক কিন্তু কাদের লরি চালায় সেটা এখনও প্রকাশ্যে আসে নি । ঠিক এখানেও পার্ক স্ট্রীট ঘটনায় মিথ্যে রটনা পরে ছোট ঘটনা আর সাজানো তথ্য বললেন সরকার। আজও সেই মূল অভিযুক্ত ফেরার কাদের খান। আর এই কাদের খানের এক সময়কার সাথী ছিল আজকের তৃণমূলের এমপি অভিনেত্রী নুরসাত জাহান।
রাজ্য সরকার যেমন করে থাকে এই ক্ষেত্রে তেমনি কাজ করছেন , নিয়ম করে সাংবাদিক সম্মেলন এ বললেন সাইবরাবাদের পুলিস কমিশনার বিসি সজ্জনার , “সেদিন রাতে শামশাবাদ থানা নিখোঁজ ডায়েরি নিতে দেরি করেছিল। ডিউটি চলাকালীন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছিলেন ওই পুলিসকর্মীরা। তদন্তের পর সাব ইন্সপেক্টর এম রবি কুমার, হেড কনস্টেবল পি বেণুগোপাল রেড্ডি ও এ সত্যনারায়ণ গৌড়কে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে।” মহিলা এই পশু চিকিতসকের এমন নির্মম পরিণতিতে দেশ জুড়ে সরকারের সমালোচনায় পিছনে হাটতে চলেছে । দেশ জুড়ে একটায় কথা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ,চলছে মিছিল, স্লোগান চারপাশে।
স্থানীয় থানার বাইরে ধর্নায় বসেছেন প্রচুর মানুষ। রাজনৈতিক কর্মী থেকে বহু মহিলা ও ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। ভিন্ন্য জনের ভিন্ন্য দাবি , কেও বলছেন ধর্ষকদের এনকাউন্ডার করে মারা হোক। কারও আবার দাবি, প্রকাশ্য রাস্তায় শাস্তি দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করা হোক। আর নিয়ে নিরাপত্তার চারে মুড়ে ফেলা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য নয় সরকার অধিকারকে থেকে নেতা মন্ত্রীদের বাঁচাতে। সার্বিক চেইপ পরে ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করেছে পুলিস। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ২৬ বছর। বাকি তিনজনের বয়সই কুড়ির আশেপাশে।
সরকারি ভাবে তেলঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি বলেছেন “বিপদে পড়েছেন বুঝেও তরুণী চিকিৎসক কেন পুলিশের ১০০ নম্বরে ফোন করেননি?” তাহলে কি এই ধর্সন ও পরে খুন হওয়া থেকে বেঁচে যেত ঐ তরুণী।রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি এর নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয়েছে কারণ যে ভাবে জনবিক্ষোভ তৈরী হয়েছে তাতে যেকোন সময় আক্রান্ত হতে পারেন , তার ওপরে এই ধরণের অবিবেচকের মত কথা বলে আগুনে ঘি পড়েছে। আবার অন্য্ দিকে তেলঙ্গানা রাজ্য পুলিশ থেকে শুরু করে সাইবারাবাদ পুলিশের যাবতীয় বড় কর্তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ১০০-ডায়াল নিয়ে প্রচার-বিজ্ঞপ্তি চলছে।
অভিযোগ কারীর পরিবার জানিয়েছে যে ‘‘রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মেয়ের ফোন বন্ধ দেখে ভেবেছিলাম, চার্জ ফুরিয়ে গিয়েছে হয়তো। ১০টা বাজতেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। টোল প্লাজায় গিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেয়েকে না-পেয়ে কাছের একটি থানায় যাই। তার পর আরও একটি থানায়। দু’জন কনস্টেবলকে বলেও লাভ হয়নি। কেউ ডায়েরি নেয়নি।’’ রাস্তায় নেমে এসে এই কথা জানার পর সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগলিয়ে দিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিউত্তরে পুলিশই জানিয়েছে,মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু নামে ২০ থেকে ২৬ বছরের চার ট্রাক-কর্মী বুধবার রাতে ছক কষে শামশাবাদ টোল প্লাজা থেকে বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী চিকিৎসককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে ।এর পর ওই তরুণীর পোড়া দেহাংশ মেলে শাদনগরে আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে বৃহস্পতিবার সকালে । এই জায়গা টোল প্লাজা এবং আন্ডারপাস জাতীয় সড়কের খুব কাছেই । সাধারণত অনাদর পাশের কাছে দেশ জুড়েই নিরাপত্তা থাকে , কিন্তু এই ক্ষেত্রে কেন কোন নিরাপত্তা ছিল না কেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৭-র ২৩ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন নিহত এই তরুণী। তিনি রঙ্গা রেড্ডি জেলার কুল্লুরু গ্রামের এক পশু-হাসপাতালে কাজ করতেন। এক সহকর্মী ডাক্তার বলেন , ‘‘ডাক্তার ম্যাডাম রোজ নিজের স্কুটিটা শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছে পার্ক করে শাদনগরের বাস ধরতেন। সেখান থেকে আবার শেয়ার অটো করে হাসপাতালে। দু’বছরে এক দিনও লেট করেননি ম্যাডাম।’’ মূল কথা হল এই সমাজে ধর্ষকরা যুগের পর যুগ রাজনীতির ছত্র ছায়ায় রয়ে যাবে।
এই বঙ্গের রোষে পড়েছিলেন চলচিত্র পরিচালক অনিক দত্ত ভুতের ভবিষৎ নিয়ে। অন্য দিকে ধর্ষণকে বিষয়বস্তু করে তিন মহিলার গল্প তারই করেছিলেন অনীক। ছবির নাম হোয়াইট।আর সেই ছবির মূল বিষয় ছিল , ধর্ষণের ফলে একজন মহিলার জীবন শেষ হয়ে যায় না, কার্যত এ বার্তাই যেন দিতে চাইছেন পরিচালক অনীক। তিনি বলেছেন ‘‘শরীরকে ধর্ষণ করা যায়, কিন্তু ইচ্ছাশক্তিকে ধর্ষণ করা যায় না।’’ অন্ধকারের মধ্যেও যে আশার আলো দেখা যায়, সেকথা মাথায় রেখেই নিজের ছবির নাম ‘হোয়াইট’ রেখেছেন বলে জানালেন অনীক। তাঁর এ ছবিটি সাইলেন্ট মুভি। আজকের বিষয়ের সাথে অনেকাংশই প্রাসনসঙ্গিক ,