পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লেভেল ১ ট্রমা কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন ও সম্মানীয় চিকিৎসকদের বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মান প্রদান করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ সরকার
NRS কাণ্ডের পর ডাক্তারদের সাথে অনেকটাই দরাজ গলায় কথা বললেন। জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন যারা আন্দোলন করেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম-এ ট্রমা কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেন:
১) রাজ্যের সব হাসপাতালে এবার এবার পে ক্লিনিক চালু করার পরিকল্পনা।
২) “রাজ্যের যে সমস্ত হাসপাতালগুলিতে সুবিধা ও জায়গা রয়েছে, সেখানে পে ক্লিনিক চালু করা যেতে পারে
৩) ” পে ক্লিনিকের টাকা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। আর ওই টাকার এক চতুর্থাংশ যে চিকিত্সকরা চিকিত্সা করছেন, তাঁরা ইনসেনটিভ কেয়ার পাবেন।” এরফলে ওই হাসপাতালেরও উন্নয়ন হবে। রোগীরা নার্সিংহোমের থেকে অনেক কম খরচে চিকিত্সা পাবেন।
৪) ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রমা কেয়ার সেন্টারটি তৈরি করা হয়। এছাড়াও স্ক্যান ও এমআরআই-এর জন্য আরও ১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেন, “১৬টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরি হয়েছে। ১১৬টি ফেয়ার প্রাইস মেডিক্যাল সেন্টার।” আগামী সোমবার উদ্বোধন হবে।
৫) মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নেন, রাজ্যে চিকিৎসা ঘাটতি রয়েছে। কৃতী ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি করে চিকিৎসক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি চিকিত্সকদের স্থানীয় ভাষা জানা দরকার বলেও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেন, “১১হাজার হেল্থ সেন্টারকে উন্নত করেছি। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার দিকে নজর দিতে হবে।”
৬), আগামী ১২ জুলাই ‘জল বাঁচান জীবন বাঁচান’ দিবস। সেই উপলক্ষে ১২ জুলাই পদযাত্রার ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বেলা ৩টেয় জোড়াসাঁকো থেকে গান্ধীমূর্তি পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা হবে বলে জানান তিনি। আগামী দিনে কন্যাশ্রী দিবস পালন হবে বলেও জানান তিনি।(ভিডিও সৌজন্যে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় )