সানস্ক্রিন ছাড়া চলে না….. জেনে নিন সানস্ক্রিন ব্যবহারের কিছু টিপস
ত্বকের রং যাই হোক না কেন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে এটি ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন।

তানিয়া চক্রবর্তী : গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা সারা বছরই সানস্ক্রিন প্রয়োজন৷ রোদ নেই বলেই যে সূর্যে ক্ষতিকর রশ্মি থাকবে না তা একেবারেই নয়৷ রোজকার ত্বকের পরিচর্যায় সানস্ক্রিনের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহারকে খুব একটা গুরুত্ব দেননা। আবার যারা সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তারা অনেকই তার সঠিক ভাবে পদ্ধতি জানেন না। তাই আপনাদের জন্য রইল সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাঁচটি পরামর্শ …
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় তার পরিমাপ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন৷ ত্বকের যে অংশ গুলি খোলা থাকে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ৷ বিশেষ করে মুখ, হাত, গলা ও পায়ের পাতায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন৷ সানস্ক্রিন না লাগালেও যেমন ত্বকের ক্ষতি হয় তেমনই অতিরিক্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন মাখাও ত্বকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর৷
এসপিএফ ৩০ মাত্রাযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও এটির স্থায়ীত্ব খুব বেশি সময়ের জন্য নয়৷ তাই প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা অন্তর এটি ব্যবহার করা উচিত৷ বিশেষ করে সাঁতার কাটা বা ঘাম হওয়ার পর৷
সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে এসপিএফের মাত্রা অবশ্যই দেখে নেবেন৷ যারা এসপিএফ ১৫ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে উপকার খুব একটা হয়না৷ আবার যারা এসপিএফ ২৫ ব্যবহার করেন তারাও এসপিএফ ১৫ -এর মতোই উপকার পান৷ তাই এসপিএফ যত বেশি হবে ত্বকের সুরক্ষা ততবেশি বজায় থাকবে৷ তাই অন্তত এসপিএফ ৩০ -এর বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন৷
যদি আপনি বাইরে বাইরে ঘুরে কাজ করেন তবে অবশ্যই এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন৷ কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন যাতে এটি সোয়েটপ্রুফ এবং ওয়াটারপ্রুফ হয়৷ কম মাত্রার এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে বারবার এটিকে ব্যবহার করুন৷
সবসময় এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন যেটি ইউভিবি এবং ইভিএ দুই প্রকারের রশ্মি থেকেই ত্বকে সুরক্ষিত রাখতে পারে৷ কারণ ইউভিএ রশ্মি দীর্ঘসময়ের জন্য ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং ইউভিবি রশ্মির ফলে সানবার্ন হতে পারে৷