সামান্য উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন, নির্দেশিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জারি করা হল গাইডলাইন সেই সব কোভিড পজিটিভ রোগীদের জন্যে যাঁদের শরীরে খুব কম মাত্রায় লক্ষণ রয়েছে
প্রেরনা দত্তঃ এত দিন করোনা আক্রান্তের বাড়ির লোক এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও সরকারি কোয়ারান্টিন সেন্টারে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। বাড়িতে স্থানাভাবের সমস্যা না-থাকলে এ বার আর সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না বলে সোমবার জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামান্য কোভিড ১৯ উপসর্গ রয়েছে বা সংক্রমণ সংক্রান্ত লক্ষ্মণের আগের পর্যায়ে রয়েছে, এমন আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনের জন্য নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে যাদের সামান্য উপসর্গ রয়েছে, তাদের সংখ্যা গুরুতর অসুস্থদের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
এখন যাদের উপসর্গ সামান্য, প্রয়োজনীয় সুবিধা থাকলে তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পারবে। নির্দেশিকা অনুসারে, আক্রান্তদের কারা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবে, তা লক্ষ্মণ বিচার করে স্থির করবেন চিকিত্সাকারী মেডিক্যাল অফিসার। আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ খুবই সামান্য ও উপসর্গের আগের পর্যায়ে থাকলে এক্ষেত্রে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা যাবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জারি করা হল গাইডলাইন সেই সব কোভিড পজিটিভ রোগীদের জন্যে যাঁদের শরীরে খুব কম মাত্রায় লক্ষণ রয়েছে অথবা প্রি-সিমটোম্যাটিক ফেজে রয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রত্যেককে তাঁদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড এবং অ্যাক্টিভ করে রাখতে বলা হয়েছে (এর জন্যে হয় ব্লু-টুথ বা Wi-Fi চালু রাখতে হবে)। একই সঙ্গে নিয়মিত নিজেদের স্বাস্থ্যের হাল জানাতে হবে জেলা সার্ভিলেন্স আধিকারিককে। রোগীকে সেল্ফ-আইসোলেশনের একটি
আন্ডারটেকিংও সই করতে হবে এবং অক্ষরে অক্ষরে হোম কোয়ারানটিনের সব নিয়ম মেনে চলতে হবে।
এছাড়াও রোগীদের হোম কোয়ারেন্টিনের ক্ষেত্রে মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। এগুলির মধ্যে রয়েছে পরিবারে বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বারেবারেই ভালোভাবে হাত ধোয়া ও অন্যান্য নির্দেশ।কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগীকে অবিলম্বে চিকিত্সকেদর তত্ত্বাবধানে আসতে হবে।