সাহায্যের নামেই কী তাহলে চলছে চক্রান্ত ?
সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পোস্ট দিচ্ছে যারা, তারা কী সত্যিই ভরসা যোগ্য ? অবশ্যই যাচাই করুন সত্যতা।
@ দেবশ্রী : মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বহু প্রশ্ন। রাতের শহরে মহিলারা কী সুরক্ষিত ? দেশে যে পরিমান বাড়ছে ধর্ষণ এর সংখ্যা বেড়ে চলেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে আতঙ্ক। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে কোনো রকম বিপদে পড়লে ফোন করুন। মহিলাদের উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট চোখে পড়ছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। বিশেষ করে হায়দরাবাদ গণধর্ষণের পর এই রকম পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় সর্বত্রই দেখা যাচ্ছিল। তবে পোস্টে দেওয়া সেই সব নাম্বার যাচাই করার পর দেখা যাচ্ছে, সব গুলোই ভুঁয়ো নাম্বার।
হায়দরাবাদ ধর্ষণের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে এলাকার নাম উল্লেখ করে পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল, ‘এই এলাকায় মহিলারা রাতে সমস্যা পড়লে বা নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে ফোন করুন। সাহায্য করা হবে।’ দেওয়া হচ্ছিল ফোন নম্বরও। কিন্তু ওইসব নম্বর নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছিল লালাবাজারের সাইবার সেলে। এরপরই তদন্ত শুরু করে সাইবার সেল। আর তাতে উঠে আসে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, যেসব নম্বর গুলি পোস্টে দেওয়া হয়েছে তার মালিক আসলে বাইরের রাজ্যের বাসিন্দা। ওইসব নম্বর যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে তা তাঁরা জানেন না। এরকম তিনটি পোস্টের আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখেছে লালবাজার সাইবার সেল কর্তৃপক্ষ। ওইসব পোস্টের পেছনে কোনও অপরাধ চক্র কাজ করছে বলেই মনে করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তাই কাউকে সাহায্যের জন্য ফোন করে ডাকার আগে তার সত্যতা যাচাই করার কথা বলেছেন লালবাজার সাইবার কর্তৃপক্ষ। কারন সাহায্যের আড়ালেও থাকতে পারে কোনও চক্রান্ত। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।