সিঙ্গুর আন্দোলন ছিল ভুল প্রকাশ্যে মুকুল ,নীরবে মমতা :ভুলের মাসুল গুনছে বাংলার যুবক
পাচিলের মধ্যে থেকে বোঝা যায়নি বাইরের চাহিদা , মানুষের মন বুঝতে পারিনি সেদিন , এখন বুঝি কি ভুল পথে হেঁটেছি মমতার সাথে ! অপকটে মুকুল

অনেক দেরি হয়ে গেল , বুদ্ধ বাবু আবেদন রেখে ছিলেন রাজ্য বাসি সহ বিরোধী নেত্রীর কাছে “করতে দিন সিঙ্গুর , হোক গাড়ী কারখানা , ছেলে মেয়েরা কাজ করবে , গড়ে উঠবে অনেক অনুসারী শিল্প রাজ্যে আসবে আরো শিল্প হবে , মানুষের সার্বিক উন্নতি করতে দিন বাধা দিলে বড় ভুল যাবে , তখন কিছু করার থাকবে না , আপসোস করলেও হবে না বেকার ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থান ”

বোধোদয় হলো তবে এগারো বছর পর মমতা সহযোগী মুকুলের। লকেট চ্যাটার্জী নির্বাচনের অনেক কথার মধ্যে টাটার গাড়ী কারখানার কথা বলে সিঙ্গুরের ভোট পেয়েছেন , তাহলে এটা প্রমান- আজ খুবই প্রাসঙ্গিক সিঙ্গুরের গাড়ী কারখানা প্রকল্প , আর প্রমান করে দিলো সেদিনের বুদ্ধ বাবুর সিঙ্গুর প্রকল্প ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল.
গত কাল সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ বেচারাম মান্না কে ফোন করেছিলাম রাতে ওপিনিয়ন টাইমস থেকে- ফোন ধরে কেটে দেন , কথা বলবে না সংবাদ মাধ্যমের সাথে।

মুকুল বক্তব্যে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট বলছে বিজেপি কে ‘খুশি’ করতেই ওই স্বীকারোক্তি। গতকাল দার্জিলিঙের কাউন্সিলরদের বিজেপিতে যোগদানের মঞ্চে হঠাৎই সিঙ্গুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুকুলবাবু, ‘‘তৃণমূলে থাকার সময়ে আমিও সিঙ্গুর আন্দোলনে শামিল হয়েছিলাম। বিরোধিতা করেছিলাম টাটাদের। কিন্তু এত বছর পরে ভুল স্বীকার করে বলছি, সে দিন টাটাদের চলে যাওয়া ঠিক হয়নি। এর ফলে শিল্প সম্ভাবনা হারিয়েছে বাংলা। সেই সময়ে টাটাদের ওই কারখানা হলে দেখাদেখি আরও শিল্প গোষ্ঠী বাংলায় আসত। চাকরির সুযোগ বাড়ত। বেকারত্বের বাজারে রাজ্যের ছেলেরা চাকরি পেত।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও দুদিন আগে বুঝতে পেরে ছিলেন যখন তিনি হুগলী জেলার সভায় ঢুকছিলেন তখন কোনো উচ্ছাস ছিলো না কর্মীদের মধ্যে। মঞ্চে উঠে বুঝলেন কর্মীদের শরীরী ভাষা তার পক্ষে আর নেই , পুলিশ আছে , সরকারি কাজের সুযোগ আছে – এই সব আছে বলে এখনো হল ভর্তি হচ্ছে , তবে ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে আর এই সব কিছু থাকবে না এটা নিজেই মনে করিয়ে দিলেন বললেন ” আমি যখন না থাকবো তখন কি হবে ” . রাজনৈতিক মহলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা মমতা ব্যানার্জী বুঝতে পেরেছেন যে তার পক্ষে আর মানুষ নেই , সরে যাচ্ছে তাই আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ভুল সংশোধন করার , তবে অনেক দেরি হল বুঝতে।