সিপিআইএম নেত্রী কনীনিকার জোর সওয়াল : তিন তালাক বাম পন্থীরা সমর্থন করে না , কিন্তু সমস্যার সমাধান কোথায় মোদী সাহেব ?
প্রচারমুখী সরকারের সব কিছুতেই প্রচারটাই সব , মানুষ গুলো ফেলনা , মধ্যযুগীয় প্রথা তিন তালাক , তোষণের নামে বঞ্চনা হয়েছে, অত্যাচারিত হয়েছে মহিলারা আর নয় , এটার জন্য আমরা লড়াই করেছি কিন্তু প্রকৃত সমাধান চেয়ে বললেন পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ বোস।
তিন তালাক বিল পাস্ হল ঠিকই কিন্তু বিতর্ক তুঙ্গে দেশ জুড়ে। তিন তালাক দিলেই ফোজদারী মামলা করবে পুলিশ- জেলে পোড়া হবে স্বামীকে , কিন্তু স্বামীকে জেলে পুড়লে ভরণপোষণ দেবে কে। কি ভাবে অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে স্বামীর সম্পত্তিতে। ফোজদারী মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কি ভাবে থাকবেন মহিলা ও তার সন্তানেরা ,কে দেবে তাদের ভরণ পোষণ। সরকার কি তার দায় ভার নেবে , তার কোন রূপরেখা নেই এই বিলে।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী টুইট করলেন , তিন তালাক বিল মহিলাদের ক্ষমতায়নে দিশা দেখাবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশ কে।
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল তিন তালাক বিল ।নরেন্দ্র মোদী এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিলেন । প্রধানমন্ত্রীর বলেন ,’গোটা দেশের জন্য ঐতিহাসিক দিন। মুসলিম মা-বোনেরা আজ জিতে গিয়েছেন । সম্ভ্রমের সঙ্গে বাঁচার অধিকার পেয়েছেন তাঁরা’।
এই বিল পাস্ হবার পর প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন,” ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হল অবশেষে ইতিহাসের মধ্যযুগীয় প্রথাকে । সংসদে তিন তালাক বিল পাস্ হবার সাথে এক ঐতিহাসিক সূচনা হল শুধু এই দেশে না সমগ্র পৃথিবীতে। মুসলিম মহিলাদের প্রতি ঐতিহাসিকভাবে যে ভুল করা হয়েছে, তা শোধরানো হল। এটা লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও সামাজিক সাম্যের পক্ষে জয় ” ।
প্রধানমন্ত্রী জানান এজন্য সব দলের সাংসদদের ধন্যবাদ ,মোদী বলেন ‘তাঁরা বিভিন্ন সময় সোচ্চার হয়েছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড দেশের ইতিহাসে থেকে যাবে’। আরো বলেন ‘মহিলাদের ক্ষমতায়নে দিশা দেখাবে তিন তালাক বিল। তোষণের নামে দেশের কোটি কোটি মা-বোনেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে পাপ করা হয়েছিল। আমি গর্বিত, মুসলিম মহিলাদের অধিকার দিতে সক্ষম হয়েছে আমাদের সরকার’।
বিল পাস হল উভয় কক্ষে কিন্তু বিতর্কের ঝড় উঠেছে সারা দেশে , বিরোধীরা দাবি করেছেন এই বিল অসম্পূর্ণ। এই বিল কে পুনর্বিবেচনার করা উচিত বলে মনে করেন সিপিআইএমের মহিলা নেত্রী কণিকা ঘোষ বোস।